নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এমপিভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকে জাতীয় প্রেসকাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। সমগ্র দেশ থেকে প্রতিদিনের মতো কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
শিক্ষক-কর্মচারিগণ বলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি শিক্ষক-কর্মচারিগণের পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের। শিক্ষার্থীরা চায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করতে এবং শহর কেন্দ্রিক সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি থাকায় অভিভাবকগণ সন্তানদের গড়পশুনার জন্য শহরে বাসা ভাড়া করে থাকেন ফলে হাজার হাজার টাকা বাড়তি খরচ যোগাতে অভিভাবকগণ হিমশিম খাচ্ছেন।
শিক্ষা ব্যবসায়ীরা শিক্ষাকে জিম্মি করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন। নতুন কারিকুলামের প্রশংসা করার পাশাপাশি তা বাস্তবায়নের মুল কারিগরদের মূল্যায়ন না করলে এর সুফল আশা করা যায় না। এ কারিকুলাম বাস্তবায়নে একজন শিক্ষককে ব্যপক পরিশ্রম করতে হবে এজন্য একজন শিক্ষকের পরিবারের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। ১০০০ টাকা বাড়িভাড়া ও ৫০০ টাকার চিকিৎসা ভাতা পরিবর্তনেরও দাবি জানানো হয়।
কর্মচারীদের কাঙ্খিত যোগ্যতা থাকলে পদোন্নতির ব্যবস্থা, বদনী ব্যবস্থা চালু, সকল নিযোগে কমিটির ক্ষমতা হ্রাস করা, প্রতিষ্ঠানের আয় ও ব্যয় এর সুষ্ঠু তদারকি করা জরুরী। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কোনো টাইম স্কেল না থাকায় সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য চরম আকার ধারণ করছে। এ সকল বৈষমের অবসানের একমাত্র উপায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ।
প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারি কোষাগারে জমা নিলে কোন ভূর্তুকি বাতিরেকেই জাতীয়করণ সম্ভব এ বিষযে হিসাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দফতরে প্রেরিত হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষক কর্মচারীদের যৌক্তিক দাবি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিবেচনা না করলে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা যদি সরকারের প্রতি বিরূপভাব প্রকাশ করেন তার দায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কেই নিতে হবে।
জোটের আহবায়ক অধ্যক্ষ মোঃ মাইন উদ্দিন এবং সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন আহমেদ দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতীয়করণের দাবিটি বিবেচনায় নিবেন নতুবা আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। গত আট দিনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী অনেক শিক্ষক-কর্মচারী অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এবং অনেকে চিকিৎসা শেষে পুনরায় অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন।
জাতীয়করণের সুস্পষ্ট ঘোষনা না আসা পর্যন্ত প্রেসক্লার ছেড়ে শিক্ষক-কর্মচারিগণ যাবেন না এই মর্মে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সারা দেশ থেকে আসা শিক্ষক-কর্মচারিগণের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাবে শিকফো যুগ্ম মহাসচিব মো. জহিরুল ইসলাম, আব্দুল জব্বার, মতিউর রহমান দুলাল, আব্দুল হাই সিদ্দিকী, ইসমাঈল হোসেন, রবিউল ইসলাম, এমপিওভুক্ত শিক্ষক অনলাইন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিবুল রাসেল, বাসিশ মহাসচিব মেসবাহ উল ইসলাম প্রিন্স, জাতীয়করণ মঞ্চের সভাপতি আফজানুর রশীদ, বাবেশিকতো সহসভাপতি ওয়ায়েদ আলী, খন্দকার মো নুরুল আমীন, অধ্যক্ষ সৈয়দ এনামুল হক ঝর্ণা বিশ্বাস, তোফাযেন সরকার, চুল আমীন, জ্যোতিষ মজুমদার, মোহাম্মদ সোনাম সাদেক, মোস্তফা কামাল, ফরিদ উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম, ইমরান হোসেন, আরেফিন সিদ্দিকী, মিজানুর রহমান মোহসেন আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাবেশিকতো যুগ্ম মহাসচিব রবিউল ইসলাম ও ইমরান হোসন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply