জেমস অ্যান্ডারসনের গতির সামনে অলৌকিক কিছু করে এমন অসম্ভব সমীকরণকে ‘সম্ভব’ বানাতে পারেনি টিম সাউদির দল। কারণ শেষ দুই দিনে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল আরও ৩৩১ রান, হাতে ছিল পাঁচ উইকেট। আর তাতে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে কিউইরা। এই হারে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে তারা। অপরদিকে ১৫ বছর পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জেতার কৃতিত্ব অর্জন করল বেন স্টোকসের ইংল্যান্ড।
পাঁচ উইকেটে ৬৩ রান করা কিউই শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন জ্যাক লিচ। এই স্পিনার বলে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। আগের দিন ২৫ রানে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটার এ দিন আর কোনো রান না করেই ফিরে যান। দিনের বাকি সময়টা নিজের করে নেন জেমস অ্যান্ডারসন। বাকি চারটি উইকেটই নেন তিনি। একটু পরপর একে একে স্কট কুইগেলেইন, সাউদি, নেইল ওয়েগনার এবং ব্লেয়ার টিকনারকে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি।
এদের কেউই পৌঁছাতে পারেননি উল্লেখযোগ্য কোনও স্কোরে! একপ্রান্ত আগলে রাখেন কেবল ড্যারিল মিচেল। আগের দিন ১৩ রানে অপরাজিত থাকা মিচেল এ দিন হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ১০১ বলে ছয়টি চার ও দুটি চারে ৫৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তার এই ইনিংসে ৩৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১২৬ রানে থামে নিউজিল্যান্ড। অবশ্য পরাজয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া কিছুই করতে পারেনি এই ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে তৃতীয় দিন বিকেলে চারটি উইকেট নিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। চতুর্থ দিনে আর উইকেট পাননি তিনি। এদিকে অ্যান্ডারসন তৃতীয় দিন বিকেলে উইকেট না পেলেও চতুর্থ দিন সকালে ১৮ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন চারটি উইকেট।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply