বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন

ফুলছড়িতে বোরো ধানের
চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষকেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৩৮২ Time View

ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার ফুলছড়িতে কৃষকেরা বীজতলা থেকে বোরো ধানের চারা উত্তোলন করে জমিতে রোপন কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। অতীতে দাম ভালো পাওয়ায় এবার বোরো চারা রোপণে কৃষকদের মধ্যে উৎসবের ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক জমিতে চারা রোপন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার ফুলছড়ি উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৬৯৩ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের এক হাজার ৮৮৫ হেক্টর, উফসি জাতের ৪ হাজার ৬৫৮ হেক্টর ও ১৫০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কৃষকেরা ধান চাষে আগ্রহী থাকায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
সরেজমিন কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় আমন মৌসুমে বাম্পার ফলন পেয়েছিলেন কৃষকেরা। দামও পেয়েছেন বেশ ভালো। সেই আলোকে বোরো আবাদে মনোযোগী হয়েছেন কৃষকেরা। বীজতলায় চারা বড় হওয়ায় বর্তমানে তাঁরা বোরো চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সকাল থেকে তারা মাঠে বেড়িয়ে পড়ছেন জমি প্রস্তুতের কাজে। কোথাও কোথাও গভীর নলকূপ থেকে তোলা হচ্ছে সেচের পানি। ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করে সারি সারি ধানের চারা লাগানো হচ্ছে। শ্রমিকের বীজতলা থেকে ধানের চারা তুলে জমিতে রোপন করছেন। বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু হওয়ার পর থেকে কৃষি শ্রমিকের কদরও বেড়ে গেছে।
উদাখালী ইউনিয়নের উত্তর কাঠুর গ্রামের কৃষক মাহবুবার রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিবারই বোরো ধানের আবাদ করি। গত বছর বোরো ধানের আবাদ করে লাভবান হয়েছি। এবারও সে আশায় জমিতে বোরো আবাদ শুরু করেছি। এবার কোনো জায়গায় পতিত রাখবো না।’ উদাখালী গ্রামের কৃষক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘বোরো আবাদে বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়ার একটু ঝুঁকি থাকে। বর্ষার হাত রক্ষা পেতে তাই আগেভাগেই ধান লাগানো শুরু করেছি।’
ছালুয়া গ্রামের বর্গাচাষী শাহজাহান আলী বলেন, গত বছর বোরো ধানের দাম ভালো হওয়ায় এবার জমির বর্গামূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে ৩৩ শতকের এক বিঘা জমি এক লক্ষ টাকায় বর্গা পাওয়া যেত, কিন্তু এখন দেড় লাখ টাকাও পাওয়া যায় না। তারপরেও যেটুকু জমানো টাকা আছে তা দিয়ে দুই বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করছি।
আমজাদ মিয়া, রেজাউল ইসলাম, ছকমল প্রধান সহ কয়েকজন কৃষি শ্রমিক জানান, ‘এক সঙ্গে সব জায়গায় চারা রোপন শুরু হওয়ায় কাজের আর অভাব নাই। একবিঘা জমিতে রোপন করতে তারা দেড় থেকে দুই হাজার টাকা নেন বলে জানান। এতে একজন শ্রমিক প্রতিদিন পাঁচ-ছয়শ টাকা আয় করেন বলে তারা জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিন্টু মিয়া জানান, ‘ইতিমধ্যে উপজেলার কৃষকেরা বোরো ধানের চারা রোপন শুরু করেছেন। কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়াসহ নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছি। প্রয়োজনীয় সার ও কীটনাশকের সরবরাহেও কোন সমস্যা হবে না। তাই আশা করছি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS