শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
সিনিয়র অফিসার পদের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করল বাংলাদেশ ব্যাংক হাদির মৃত্যু সংবাদে উত্তাল ঢাকা, নজিরবিহীন বিক্ষোভ সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন শরীফ ওসমান হাদী রাণীনগরে অবৈধভাবে পুকুরের মাটি বিক্রির অভিযোগে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়ায় দেশের রিজার্ভ ৩২.৫৭ বিলিয়ন ডলার সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইনকিলাব মঞ্চ নেতা ওসমান হাদি মারা গেছেন পুঁজিবাজারের তথ্য দিতে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: আছাদুর রহমান ২.১৪ কোটি টাকার শেয়ার কিনবেন স্যালভো কেমিক্যালের এমডি নুজহাত আনোয়ার ডিএসইর নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) এর আয়োজনে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত

ভারত-পাকিস্তান স্বপ্নের ফাইনালের পথে বাধা ইংল্যান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৪৫ Time View

ইংল্যান্ড দলের হয়েছে বিপদ! টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তারা যেন উঠেছে নিছক আনুষ্ঠানিকতা রক্ষার স্বার্থে এবং সেটা সেমিফাইনালে ভারতের একটা প্রতিপক্ষ লাগে বলেই। নইলে ১৩ নভেম্বর মেলবোর্নের ফাইনালে ইংল্যান্ডের কোনো জায়গা নেই। ভারত আজ তাদের হারিয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠে যাবে, এটাই যেন ভবিতব্য!

তা না হলে অ্যাডিলেড ওভালে গত দুই দিনে দুবার কেন উচ্চারিত হবে একই প্রশ্ন? পরশু ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার বেন স্টোকসকে যে প্রশ্ন করা হয়েছিল, গতকাল অ্যাডিলেড ওভালে ম্যাচ–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সেটা করা হলো ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারকেও। প্রশ্নের মর্মার্থ, সবাই তো চাচ্ছে ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল হোক। ইংল্যান্ড সেই সম্ভাবনা ভেস্তে দিতে কতটা প্রস্তুত?

উত্তর যা দেওয়ার তা–ই দিয়েছেন বাটলার। স্টোকসের মতো তিনিও বলেছেন, ইংল্যান্ড কোনোভাবেই ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল হতে দেবে না। সেই সম্ভাবনা ধূলিসাৎ করে দিতে যা যা করা দরকার, সবই তাঁরা করবেন।

ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল ঠেকাতে ইংল্যান্ডের করার আছে আসলে একটা কাজই—আজ ভারতকে হারানো। কারণ, স্টোকস–বাটলাররা না চাইলেও টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল নিয়ে যে অগ্রিম চিত্রনাট্য ভাবা শুরু হয়ে গেছে, তার অর্ধেকটা গতকাল লেখাও হয়ে গেছে।

সিডনিতে প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পা দিয়ে ফেলেছে পাকিস্তান। এখন শুধু ভারতের অংশটা বাকি। অ্যাডিলেড ওভালে আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেমিফাইনালটাকে যদি রোহিত শর্মার দল জয়ের ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলতে পারে, তাহলেই বিশ্বকাপ ভাসবে রোমাঞ্চে—২০০৭ সালের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আরেকটি ভারত–পাকিস্তান ফাইনালের রোমাঞ্চ।

সেমিফাইনালের আগে ভারতের নেট অনুশীলন
সেমিফাইনালের আগে ভারতের নেট অনুশীলন

আশাটা ভারত, পাকিস্তান ছাড়িয়ে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্তও ছড়িয়েছে। এখানকার প্রবাসীদের একটা বড় অংশ ভারত ও পাকিস্তানের। তাদের এক দলের আশা তো সিডনিতে পূরণ হয়েই গেছে, আজ ভারতীয়রাও আশার বেলুন উড়িয়েই হাজির হবেন অ্যাডিলেড ওভালের গ্যালারিতে। আর ক্রিকেটের বাণিজ্যিক দিকটার কথা যদি ভাবেন, সেখানে ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল বরাবরই মধুভরা মৌচাক। মনে মনে ক্রিকেটের নীতিনির্ধারকেরাও যে উপমহাদেশীয় ফাইনালের আশায়ই বসে নেই, সেটি কে বলতে পারে!

অবশ্য আশা এবং আশা পূরণের মধ্যে কখনো কখনো অ্যাডিলেড–মেলবোর্নের চেয়েও বড় দূরত্ব তৈরি হতে পারে। বাটলার ওই কথা বলে প্রচ্ছন্নে ভারতকে সেই হুমকিই দিয়ে রেখেছেন। অ্যাডিলেডকে বলেছেন বিশ্বের সেরা স্টেডিয়াম, প্রতিপক্ষ ভারতকে দিয়েছেন অসাধারণ দলের বিশেষণ এবং এটাও বলেছেন যে তাঁর বিশ্বাস সেমিফাইনালে ভারত সমর্থনের জোয়ারে ভাসবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ সবকিছুকেই ভারতের জন্য নিরর্থক প্রমাণিত করে ইংল্যান্ড উঠে যাবে ফাইনালে, এটাই তাঁর চাওয়া।

অবশ্য খেলাটা যখন অ্যাডিলেডে, বাটলার এমন কিছু চাইতেই পারেন। কারণ, সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁদের যে দিনবদল, সেটির শুরু এ মাঠেই বাংলাদেশের কাছে খাওয়া এক ধাক্কার পর।

অ্যাডিলেড ওভালে ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে বিদায় নেয় ইংল্যান্ড। কিন্তু ওই হার যেন ইংলিশদের জন্য হয়ে যায় শাপেবর। এরপর সাদা বলের ক্রিকেটটাকে তারা এতই গুরুত্ব দিতে শুরু করল যে সেই থেকে এই বিশ্বকাপ পর্যন্ত হওয়া আইসিসির পাঁচটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের সব কটিতেই অন্তত সেমিফাইনালে খেলেছে দলটা। ভারতের বিপক্ষে আজ তাই ম্যাচের ভেন্যুটাই হয়ে উঠতে পারে বাটলারদের প্রেরণার উৎস।

ইংল্যান্ডের ড্রেসিংরুমেও এই বিশ্বাস বহমান। বাটলার বলছিলেন, তাঁরা যে মাঠেই যান, পুরোনো কিছু স্মৃতি ফিরে আসে। অ্যাডিলেড ওভালের ২০১৫ সালের স্মৃতিটা যদিও যন্ত্রণার, তাঁরা এটাও মনে করতে পারছেন যে এ মাঠে বাংলাদেশের কাছে ওই হারের পর থেকেই সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের বদলের গান শুরু। কোনো না কোনোভাবে তাই অ্যাডিলেড ওভাল ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসেরও অংশ। সেই ইতিহাসটাকে আজ আরও সমৃদ্ধ করাই লক্ষ্য দলটার।

ইংল্যান্ডের অনুশীলনে অধিনায়ক জস বাটলার
ইংল্যান্ডের অনুশীলনে অধিনায়ক জস বাটলার

তবে বিরাট কোহলি–সূর্যকুমার যাদবদের নিয়ে গড়া রোহিত শর্মার ভারতের বিপক্ষে কাজটা সহজ হওয়ার কথা নয়। ভারতের নেতৃত্ব কাঁধে নেওয়ার পর থেকে রোহিতের লক্ষ্যই হলো দলকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করা। সেই লক্ষ্য পূরণ থেকে আর মাত্র দুই ম্যাচের দূরত্ব। শিরোপার এত কাছে এসে ভারত অধিনায়ক শুধু সামনেই তাকাচ্ছেন, ‘আমরা অনেক দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এই জায়গায় এসেছি এবং আমরা সেই প্রক্রিয়াই মেনে চলব। আমরা জানি, বিশ্বকাপ জিততে আমাদের ভালো ক্রিকেটই খেলতে হবে এবং সেটা আমরা এই টুর্নামেন্টে খেলছি।’

অস্ট্রেলিয়ায় খেলার একটা সমস্যা, মাঠের আকৃতি এখানে সব দলকেই ভোগায়। একেক ভেন্যুতে একেক ধরনের আকৃতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ থাকে। সেদিক দিয়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটা অ্যাডিলেডে এবং আজ সেটার মুখোমুখি হতে হবে ভারত, ইংল্যান্ড দুই দলকেই। অন্য মাঠের তুলনায় এ মাঠের সোজা বাউন্ডারি বড়, উইকেটের দুই পাশের বাউন্ডারি তুলনায় ছোট।

আগের ম্যাচটা মেলবোর্নে খেলে এসে অ্যাডিলেড ওভালে মানিয়ে নেওয়াটা যে কঠিন হবে, সেটি মানছেন রোহিত। তবে ইংল্যান্ডের তুলনায় ভারতের বাড়তি সুবিধা, এই বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে তাদের অন্তত একটা ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে, ইংল্যান্ড খেলবে আজই প্রথম।

ইংল্যান্ডের যেটা আছে, সেটা অবশ্য ভারতের নেই। অ্যাডিলেডে এবার খেলা একমাত্র ম্যাচে ভারত যাদের হারিয়েছে, ২০১৫ বিশ্বকাপে সেই বাংলাদেশের কাছে ইংল্যান্ড হারলেও হারটা তাদের ঠেলে দেয় নতুন দিনের দিকে। যার আরেকটি মোড়ে দাঁড়িয়ে বাটলারের প্রতিজ্ঞা—ঠেকিয়ে দেবেন উপমহাদেশীয় ফাইনাল।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS