তুরস্কের উত্তরাঞ্চলের বারতিন প্রদেশে একটি কয়লাখনিতে বিস্ফোরণে অন্তত ২৫ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় খনির ভেতরে আটকে পড়েছে আরও কয়েক ডজন মানুষ। তাদের জীবিত উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) দেশটির বার্তিন প্রদেশের আমাসরা শহরে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন উদ্ধারকর্মীরা। খনিতে আটকে পড়াদের উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। এখনো খনির ভেতর চাপা পড়ে আছেন অর্ধশত শ্রমিক।
দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, বিস্ফোরণের সময় খনিতে প্রায় ১১০ জন লোক কাজ করছিলেন। তাদের মধ্যে প্রায় কয়েক ডজন কর্মী ভূপৃষ্ঠের ৩০০ মিটারেরও বেশি গভীরতায় ছিলেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, তিনি সব কর্মসূচি বাতিল করে শনিবার দুর্ঘটনাস্থলে যাবেন। এক টুইটে এরদোয়ান বলেন, আমরা আশা করছি, প্রাণহানি আর বাড়বে না, আমাদের খনি শ্রমিকদের জীবিত পাওয়া যাবে।
তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেটিন কোকা বলেছেন, ১১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উদ্ধারকর্মীরা রাত থেকেই আটকা পড়াদের বের করে আনতে কাজ করে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কৃষ্ণসাগরের উপকূলে আমরাসা এলাকায় অবস্থিত ওই খনি থেকে যাদের উদ্ধার করা হচ্ছে তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সৌলু জানিয়েছেন, খনির ৩০০ থেকে ৩৫০ মিটার গভীর অংশটা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। সেখানে প্রায় ৪৯ জনের মতো শ্রমিক কর্মরত ছিল। সেখানে এখনো উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছতে পারেনি। কী কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সে সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
তুরস্কের জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ফায়ারড্যাম্পের কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে, যা মিথেন কয়লা খনিতে বিস্ফোরক মিশ্রণ তৈরি করছে।
আমাসরার মেয়র রেকাই কাকির বলেছেন, যারা বেঁচে গেছেন তাদের অনেকেই গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সোমাতে একটি কয়লার খনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে প্রায় ৩০১ জনের মৃত্যু হয়।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply