রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন

বিশ্ব রোগী সুরক্ষা দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

প্রতিদিন বহু রোগী স্বাস্থ্য পরিষেবা গ্রহণ করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হন। স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে গিয়ে কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন, এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার সময় এসেছে। বিশ্ব রোগী সুরক্ষা দিবস আজ।

১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) উদ্যোগে বিশ্ব রোগী সুরক্ষা দিবস (World Patient Safety Day) পালন করা হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে দিবসটি পালন শুরু হয়। এরপর থেকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও প্রতি বছর দিবসটি পালিত হচ্ছে।

সারা বিশ্বের প্রতিটি মানুষ, তাদের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে, অসুস্থতা প্রতিরোধ বা চিকিৎসার জন্য ওষুধ সেবন করবে। যাইহোক, ওষুধগুলি কখনও কখনও গুরুতর ক্ষতির কারণ হয় যদি ভুলভাবে সংরক্ষণ করা হয়, নির্ধারিত হয়, বিতরণ করা হয়, পরিচালনা করা হয় বা অপর্যাপ্তভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।

অনিরাপদ ওষুধের অভ্যাস এবং ওষুধের ত্রুটি সারা বিশ্বে স্বাস্থ্য পরিচর্যায় পরিহারযোগ্য ক্ষতির একটি প্রধান কারণ। ওষুধের ত্রুটি ঘটে যখন দুর্বল ওষুধ ব্যবস্থা এবং মানুষের কারণ যেমন ক্লান্তি, খারাপ পরিবেশগত অবস্থা বা কর্মীদের ঘাটতি ওষুধ ব্যবহারের প্রক্রিয়ার নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করে। এর ফলে রোগীর মারাত্মক ক্ষতি, অক্ষমতা এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। চলমান COVID-19 মহামারী ওষুধের ত্রুটি এবং সংশ্লিষ্ট ওষুধ-সম্পর্কিত ক্ষতির ঝুঁকিকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বিশ্ব রোগী নিরাপত্তা দিবস ২০২২ এর থিম হিসেবে ‘ক্ষতি ছাড়া ওষুধ’ (Medication Without Harm) স্লোগানকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ বছর ওষুধ-সম্পর্কিত ক্ষতি সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বাড়াতে জোর দিয়েছে। ওষুধের নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য জরুরি পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছে। ওষুধের নিরাপদ ব্যবহারে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকার জন্য রোগী এবং পরিবারকে ক্ষমতায়ন করার কথা বলছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর নিম্ন ও মধ্য-আয়ের দেশের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের অনিরাপদ যত্নের কারণে ১৩৪ মিলিয়ন প্রতিকূল ঘটনা ঘটে, যার জেরে বার্ষিক ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়।

স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই মাহবুব বলেছেন, স্বাস্থ্যনীতির প্রথম শর্তই হচ্ছে কারও কোনো ক্ষতি না করা। রোগীর নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত নীতিগুলোর মধ্যে রয়েছে চিকিৎসার সময় যেকোনো রকমের ক্ষতি থেকে তাদের রক্ষা করা।

ইমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, চিকিৎসকরা প্রেসক্রিপশন লেখার সময় সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করবেন না। এমনভাবে লিখতে হবে, যাতে রোগীর বুঝতে সহজ হয়। স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং টিম বিল্ডিং কার্যক্রমগুলো ত্রুটি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS