ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট বলেছেন, রাজনীতি নিয়ে আমার কোনো ভাবনা নেই, আমি সবসময় শেখ হাসিনার কর্মী ছিলাম, কর্মী হিসেবেই কাজ করে যাবো।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে এসে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তারা স্লোগান দিয়ে সম্রাটের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এর আগে দুপুরে জামিনে কারামুক্ত হয়ে হাসপাতাল ছাড়েন সম্রাট।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ইউনিট প্রধান ডা. মো. রসুল আমিন (শিপন) বলেন, গতকালই (বৃহস্পতিবার) তাকে আমরা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়েছি। তবে তিনি আজ দুপুরে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
তিনি বলেন, এখনো তিনি পুরোপুরি সুস্থ হননি। আমাদের হাসপাতালেও সর্বশেষ সময় পর্যন্ত তার চিকিৎসা চলছিল। তিনি যেহেতু জামিনে মুক্তি পেয়েছেন, এখন নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন কোথায় চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন। তবে তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। এখন সেই চিকিৎসাটা তিনি কোথায় নেবেন, সেটা পুরোটাই তার ব্যক্তিগত বিষয়।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর অসুস্থতা জনিত কারণে আরও দুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলন তিনি।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তাতে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
চলতি বছরের ১০ এপ্রিল থেকে ১১ মের মধ্যে চার মামলায় জামিন পান সম্রাট। কারাগারে যাওয়ার ৩১ মাস পর মুক্তি মেলে তার।
তবে এক সপ্তাহ পর ১৮ মে হাইকোর্ট জামিন বাতিল করে তাকে আবার বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দিলে আবার তার বন্দিজীবন শুরু হয়। এর পর ২২ আগস্ট জামিনে তিনি কারামুক্ত হন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply