শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন

টাকা আত্মসাতের মামলায় সাহেদের জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২

পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) গুলশান করপোরেট শাখার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) এ মামলয় তার জামিন প্রশ্ন রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে সাহেদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মাসুদ-উল-হক। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারের কে এম মাসুদ রুমী। জামিনের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে ২০২০ সালের ২৭ জুলাই সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন পদ্মা ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ওরফে বাবুল চিশতী চিশতী, তার ছেলে রাশেদুল হক চিশতি এবং রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রিজেন্ট হাসপাতালের নামে পদ্মা ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখায় একটি হিসাব খোলেন সাহেদ। হাসপাতালের জন্য তিন কোটি ৪০ লাখ টাকায় একটি এমআরআই মেশিন কেনার কথা বলে হিসাব খোলার দিনই সাহেদ ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের কাছে এক কোটি টাকার এফডিআর বন্ধক রেখে দুই কোটি টাকার ঋণের জন্য আবেদন করেন।

এতে আরো বলা হয়, ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা না দেখে পরদিন সাহেদের আবেদন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি সাহেদের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে দুই কোটি টাকা ঋণ অনুমোদনের জন্য ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান বাবুল চিশতীর কাছে উপস্থাপন করা হলে তিনি তা অনুমোদন করেন।

এরপর ১৯ জানুয়ারি এমআরআই মেশিন সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠানকে দুই কোটি টাকার পে অর্ডার ইস্যু করা হয়। ২১ জানুয়ারি শাহজালাল ব্যাংকের উত্তরা মহিলা শাখা থেকে সেই অর্থ তুলে নেওয়া হলেও তা দিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের জন্য কোনো এমআরআই মেশিন কেনা হয়নি বলে জানানো হয় মামলার এজাহারে। সাহেদ ঋণের কোনো কিস্তি পরিশোধ করেননি। এফডিআরের এক কোটি টাকা সমন্বয়ের পর বাকি এক কোটি টাকা থেকে সুদ আসলসহ মোট দুই কোটি ৭১ লাখ টাকা এখন সাহেদের কাছে পাওনা রয়েছে ব্যাংকের।

দুদকের অনুসন্ধানের তথ্য তুলে ধরে এজাহারে বলা হয়, ওই দুই কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুরের আগেই সাহেদ ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি পদ্মা ব্যাংকের বকশীগঞ্জ শাখায় বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স কম্পানির অ্যাকাউন্টে ৩৫ লাখ টাকা জমা দেন। এই টাকা উত্তোলন করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাবুল চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতী।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS