শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ১১:১১ অপরাহ্ন

৩০০ আসনেই ইভিএমে ভোট চায় বিকল্পধারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০২২

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চায় বিকল্প ধারা বাংলাদেশ। তবে এর আগে ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে এই মেশিন সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে এমন প্রস্তাবনা দেয় দলটি। বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেয়। এতে অন্যদের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে  মেজর (অব.) আবদুল মান্নান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পেছনে জনগণের অধিকার বঞ্চিত হওয়ার করুণ ইতিহাস রয়েছে। তার মধ্যে জনগণের ভোটাধিকার না পাওয়া অন্যতম। চুয়ান্ন সালের নির্বাচন ও বিশেষ করে ৭০ এর নির্বাচনে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের নানা তালবাহানা ও নির্মমতার ফলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মানুষ দ্রুত স্বাধীনতার প্রশ্নে আপসহীন হয়ে ওঠে। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নশীল দেশের গৌরব অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতো বিনিময়ে বিকল্পধারা বাংলাদেশের লিখিত প্রস্তাব সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে বর্তমান সরকার এবং নির্বচন কমিশন বহু বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছে।

তার একটা স্থায়ী সমাধান হওয়া প্রয়োজন। গণতন্ত্রের স্বাভাবিক বিকাশের জন্য সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। আপনারা নতুন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এজন্য আপনাদের অভিনন্দন। ইতিমধ্যে আপনারা কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতার প্রমাণ রেখেছেন, তাই বিকল্পধারা বাংলাদেশ সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে কিছু সুপারিশ তুলে ধরছে, যা নিম্নরূপ:
(১) সব কেন্দ্রে ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করা হলে অন্তত ভোট কারচুপি বন্ধ হবে। একজনের ভোট আর একজন দিতে পারবে না-তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

(২) নির্বাচনের সময় ভয়-ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি না হয় তার ব্যবস্থা করা।
(৩) নির্বাচন ক্যাম্পেইনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা।
(৪) ভোটারদের ভোট দেওয়ার গোপনীয়তা নিশ্চিত করা।
(৫) ভোটকেন্দ্রে অনাকাঙ্ক্ষিত লোকের প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা।

(৬) ভোটকেন্দ্রে পেশী শক্তি ব্যবহার রোধ কল্পে প্রতি ভোট কেন্দ্রে সামরিক বাহীনির অন্তত ৫ সদস্য নিয়োগ দেওয়া।

(৭) ভোটকেন্দ্রে দ্রুত সময়ে ভোট গণনা সম্পূর্ণ করে ভোটের ফলাফল উপস্থিত এজেন্টদের কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘোষণা করা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS