আবারও জ্বালানি তেলের দাম দুই শতাংশ বেড়েছে। অস্থিতিশীল বাজার পরিস্থিতিতে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে প্রতি ব্যারেল জ্বালানির মূল্য ১শ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। শুক্রবার (১৫ জুলাই) এই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পায়। খবরে আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজার বিশ্লেষক সংবাদ মাধ্যম অয়েল প্রাইস
এর আগে, বুধবার (১৩ জুলাই) এশিয়ায় ব্যারেল প্রতি তেল ১শ ডলারের নিচে বিক্রি হয়। এদিন ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার ৬৮ পয়সা (ডলার হিসাবে) বা ০.৭ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয় ৯৮.৮১ ডলারে। আর ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড ৭২ পয়সা (ডলার হিসাবে) বা ০.৮ শতাংশ কমে বিক্রি হয় ৯৫.১২ ডলারে। এ দরে গত তিন মাসের মধ্যে আর কখনোই বিক্রি হয়নি।
গত সেশনে (মঙ্গলবার, ১২ জুলাই) চিনের আরোপিত করোনা বিধিনিষেধ কঠোরতা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড সূচক মূল্যস্ফীতি ও সার্বিক বাজার পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি হার বৃদ্ধিতে জ্বালানি তেল অবিক্রীত রয়ে গেলে তেলের দর হঠাৎ মুখ থুবড়ে পড়ে।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জ্বালানি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে সৌদি আরব সফরে যান। সফরে প্রেসিডেন্ট বাইডেন সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ধারণা করেছেন সৌদি আরব পরবর্তী সপ্তাহ থেকে তেলের যোগান বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবে। তেল সরবরাহের বিষয়ে দুদেশ থেকে কোনো ধরনের সম্মতি বা ইতিবাচক ফলাফল আসে নি। তবে আসন্ন পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থার (অপেক) সঙ্গে তেল রফতানি বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হবে। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় আলোচনায় চোখ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হাউজটনের অয়েল অ্যাসোশিয়েটস এন্ড্রু লিপো জানান, এই মুহুর্তে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও সৌদি বাদশার কাছ থেকে তেল সরবরাহের বৃদ্ধির আশা করাটা হবে হতাশাব্যঞ্জক। আমি মনে করি আসন্ন সপ্তাহে, বিশেষ করে অপেক আলোচনায় আমরা সম্ভবত সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাইরেও তেলের যোগানের বৃদ্ধি দেখতে পারি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply