ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে ২-০ ব্যবধানে হার। দুই ম্যাচে তেমন কোনো প্রতিদন্দিতাও করতে পারেনি বাংলাদেশ। হারের পর যারপরনাই হতাশ সাকিব আল হাসান। সেন্ট লুসিয়া টেস্ট ম্যাচ শেষে সাকিব উদাহরণ দিলেন ইংল্যান্ডের। যাদের দেশের টেস্ট সংস্কৃতি চোখে পড়ার মতোই।
টেস্ট অধিনায়ক সাকিব বলেন, ‘খেলোয়াড়দের এখানে খুব বেশি দোষ দেওয়াটা ঠিক হবে না। শুধু খেলোয়াড়দেরই দোষ দিলে হবে না। আমাদের দেশের সিস্টেমটাই কিন্তু এমন। আপনি কবে দেখছেন বাংলাদেশে ৩০ হাজার দর্শক টেস্ট ম্যাচ দেখছে বা ২৫ হাজার দর্শক মাঠে এসেছে টেস্ট দেখতে? ইংল্যান্ডে তো প্রতি ম্যাচে (টেস্ট) এরকম দর্শক থাকে। টেস্টের সংস্কৃতিটাই আমাদের দেশে ছিল না কখনো, এখনো নেই। টেস্ট সংস্কৃতি নেই বলে যে হবেও না, সেটাও কিন্তু নয়। এই জিনিসটা পরিবর্তন করাই আমাদের বড় দায়িত্ব। সবাই মিলে যদি একসঙ্গে পরিকল্পনা করে আগানো যায় তাহলেই হয়তো কিছু সম্ভব হবে। নইলে আসলে খুব বেশি দূর আগানো সম্ভব হবে না। কারণ আমাদের টেস্টের সংস্কৃতিই নেই।’
আগামী কয়েকমাস টেস্ট ক্রিকেট থেকে দূরে থাকবে বাংলাদেশ। এরপর সাকিবের দল আবার টেস্ট খেলবে নভেম্বর–ডিসেম্বর মাসে। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত। মাঝের সময়টাতে অন্যান্য ফরম্যাটে ব্যস্ত থাকলেও টেস্ট নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা রাখতে চান সাকিব।
বাংলাদেশের অধিনায়কের মতে, ‘এই বিরতির মধ্যে যারা টেস্ট খেলতে আগ্রহী তারা হয়তো যার যার জায়গা থেকে উন্নতি করার চেষ্টা করবে। উন্নতি ছাড়া আর কোনো পথ নেই। আমাদের এমন কোনো সেটআপও নেই যাদের আনলে আমরা টেস্টে ভালো করে ফেলব। যারা আছি বা বাইরে আর যে দুই–চারজন আছে, সবাই মিলে যদি একসঙ্গে পরিকল্পনা করে আগাতে পারি তাহলেই ভালো কিছু সম্ভব হবে। তা না হলে এতদিন ধরে যা হয়ে আসছে তা থেকে খুব বেশি একটা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমাদের নিজেদের চিন্তার পরিবর্তনাটা জরুরি। এই জায়গায় কাজ করার আছে। সবাই মিলে পরিকল্পনা করতে হবে। একজনকে ছাড়া আরেকজনকে নিয়ে পরিকল্পনা করে আসলে সফল হওয়া সম্ভব নয়। সবাই মিলে বসে যদি আমরা একটা পরিকল্পনা ধরে আগাই তাহলে অন্তত এক–দেড় বছর পর ধারাবাহিক পারফর্ম করা সম্ভব হবে।’
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply