বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও এজেন্ট ব্যাংক আমানতকারীরা আমানতের ১০ শতাংশও ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন না বলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ এজেন্ট ব্যাংকিং ওনার্স এসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাজধানীর পুরানা পল্টনের ইকোনোমিক রির্পোটার ফোরাম মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
গত বছর আগস্টে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, বাংলাদেশে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আমানত বেড়েছে। এই আমানতের পরিমাণ ১২ হাজার ৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আমানতের সঙ্গে রেমিট্যান্স প্রবাহও বাড়ছে। তবে গ্রাম থেকে সংগৃহীত এ আমানতের অনুকূলে গ্রাহকরা ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরো জানায়, এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য দেশে অনুমোদিত ২৩ টি ব্যাংক থাকলেও এদের মধ্যে ১৪ টি ব্যাংক গ্রাহকদেরকে এক টাকাও ঋণ বিতরণ করেনি।
এদিকে বাংলাদেশ এজেন্ট ব্যাংকিং ওনার্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে দেশের ৬৮ হাজার গ্রামের আর্থিক অবস্থার চিত্র পরিবর্তন করা যেতে পারে। কর্মস্ংস্থান সৃষ্টি হতে পারে ৩০ লক্ষ মানুষের।
এ লক্ষ্যে সংস্থাটি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বেশকিছু দাবি তুলে ধরছেন। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো-
১। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের অধিনে বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি এজেন্ট ব্যাংকিং উইং সৃষ্টি করে নিজ নিজ ব্যাংকের মাধ্যমে এজেন্টদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা।
২। নিজ নিজ ব্যাংকের মাধ্যমে এজেন্টদেরকে সার্বিক কমিশন বৃদ্ধিসহ প্রতি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট মালিককে প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা করে সম্মানি ভাতা দেয়া।
৩। প্রতিটি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের ২ টি কম্পিউটার ১ টি ল্যাপটপ এবং যাবতীয় আসবাবপত্র ও সাইনবোর্ডসহ যাবতীয় খরচ মূল ব্যাংককে বহন করতে হবে।
৪। ক্ষুদ্র ও কৃষি ঋণ সহজ শর্তে সকল এজেন্ট কেন্দ্রে একযোগে চালু করার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা জারি করা এবং সাধারণের মধ্যে ঋণ প্রদানের সুবিধা সহজ করে দেওয়া। সেইসঙ্গে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট মালিককে ঋণ প্রদানের জন্য ঋণ প্রদান ফরমে চূড়ান্ত অনুমোদনের সুপারিশ করার ক্ষমতা দেওয়া।
উল্লেখ্য, এজেন্ট ব্যাংকিং খাতকে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার আওতায় নিয়ে এজেন্ট ওনারদের দুর্বিষহ জীবন থেকে সুস্থ জীবনে ফিরে আনতে বাংলাদেশ এজেন্ট ব্যাংকিং ওনার্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব এজেড এম শামসুল আলম।
সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সেক্রেটারী সুলতান মাহমুদ মুরাদ হোসেন, চট্টগ্রামের ফরিদুল আলম বিরামপুরের রফিকুল ইসলাম, ভৈরবের সামিউজ্জামান সহ সারা দেশের এজেন্ট ব্যাংক মালিকরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে এজেন্ট ব্যাংকিং বিষয়ে এক বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ড.এম এম আবদুল হাই।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply