ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর):
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকবৃন্দের কয়েকটি সংগঠন কর্তৃক ১ ডিসেম্বর থেকে কর্মবিরতি এবং পরবর্তীতে ৩ ডিসেম্বর থেকে তথাকথিত ‘কমপ্লিট শাট ডাউন’ কর্মসূচির বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অবহিত রয়েছে। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ এবং বিদ্যমান পরিস্থিতির বিষয়ে বক্তব্য নিচে তুলে ধরা হলো:
সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন প্রদানের দাবিসহ অন্য আরো দু’টি দাবি, যথা ১০ ও ১৬ বছর চাকুরি সমাপনান্তে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষক পদে সহকারী শিক্ষকদের মধ্য হতে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির বিষয়ে ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। উক্ত দাবিসমূহ বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, অরথ উপদেষ্টা এবং বেতন-কমিশনের সভাপতির সঙ্গে উল্লিখিত দাবিসমূহ বাস্তবায়নের বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা করেছেন। উল্লেখ্য, এর আগে এ মন্ত্রণালয় হতে ৭ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ৩৬৪ সংখ্যক স্মারকে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১৩তম গ্রেড হতে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণের বিষয়টি বিবেচনার জন্য সভাপতি, জাতীয় বেতন কমিশন-২০২৫-কে অনুরোধ জানিয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল উন্নীতকরণের বিষয়টি পে-কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পরপরই অর্থ বিভাগ কর্তৃক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে মর্মে ১০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে অর্থ বিভাগের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক উপর্যুক্ত ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণ করার পরেও দেখা যাচ্ছে সহকারী শিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠন চলমান বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ না করে বিভিন্নভাবে উক্ত পরীক্ষা গ্রহণে বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করেছেন এবং কোথাও কোথাও পরীক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষকদের ওপর হামলা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়ে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মসূচি গ্রহণ সরকারি চাকুরি আইন, আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী এবং ফৌজদারি আইনেও বিবেচ্য।
এ পরিস্থিতিতে দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণকে অবিলম্বে কাজে যোগদান করে শিক্ষার্থীদের তৃতীয় প্রান্তিকের পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত বিদ্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্নের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্যথায়, এ ধরণের শৃঙ্খলা-বিরোধী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চাকুরি আইন, আচরণ বিধিমালা ও ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply