মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৪:১৯ অপরাহ্ন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক লাঞ্ছনা, মধ্যরাতে উত্তাল ক্যাম্পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ৩ মে, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক এবং সহকারী ছাত্রবিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকিকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস। শুক্রবার (২ মে) গভীর রাতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিনের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মোবারক হোসেন নোমান শুক্রবার সন্ধ্যায় পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের পাশে শারীরিকভাবে আঘাত করেন ওই শিক্ষককে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

হামলায় আহত শিক্ষক হাসান মাহমুদ সাকিকে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাকে সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক।

শিক্ষককে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শুক্রবার রাত ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। তারা দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মুন্না হোসাইন বলেছেন, “শিক্ষকরা যদি নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত থাকেন, তাহলে আমরা শিক্ষার্থীরা কীভাবে নিরাপদ বোধ করব?”

চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের হোসেন বলেন, “আমাদের দাবি, তাকে (নোমান) বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে হবে। তার এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট নেওয়ার কোনো অধিকার নেই। এসব নোংরা মানুষ সমাজের কীট।”

এ বিষয়ে ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত বলেছেন, “একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দোষী ও তার সহযোগীদের দ্রুত শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, “এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। শিক্ষার্থীদের সব দাবির সঙ্গে আমরা একমত। দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা গর্হিত কাজ, যা চিন্তা করা যায় না। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ বছরের ইতিহাসে এ ধরনের জঘন্য ঘটনা একটিও ঘটেনি। এক জন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা মানে পুরো শিক্ষকসমাজকেই লাঞ্ছিত করা। হামলাকারীকে শাস্তির আওতায় আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সচেষ্ট থাকবে। আমরা তিন দিনের মধ্যে দোষীকে শাস্তির আওতায় আনব।”

রাত ২টা পর্যন্ত চলা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। তবে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হলে তারা রোববার থেকে ক্লাস বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS