মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৪ অপরাহ্ন

গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের ফিরতে দেবে ইসরায়েল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫

জা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে প্রবেশাধিকার বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া সামরিক অঞ্চল নেতজারিম করিডোর দিয়ে যাওয়ার জন্য ইসরায়েলি বাহিনীর অনুমতির অপেক্ষায় থাকা হাজার হাজার ফিলিস্তিনি রাস্তায় ঘুমিয়ে দ্বিতীয় রাত কাটাচ্ছেন।

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। খবর আল-জাজিরার।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আভিচায় আদরাই সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে আল-রশিদ স্ট্রিট দিয়ে ফিলিস্তিনিদের নেতজারিম করিডোর অতিক্রম করার অনুমতি দেওয়া হবে।

এ ছাড়া স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে সালাহ আল-দিন স্ট্রিটে পরিদর্শনের পর যানবাহনগুলিকে উত্তরাঞ্চলের দিকে যেতে দেওয়া হবে।

মুখপাত্র আরও বলেছেন, এই পথ দিয়ে যোদ্ধা এবং অস্ত্রের যেকোনো চলাচল যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং ফিলিস্তিনিদের উপত্যকার যেকোনো স্থানে ইসরায়েলি সেনাদের কাছে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

এর আগে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, হামাস শুক্রবারের মধ্যে ইসরায়েলি বন্দি আরবেল ইয়েহুদকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা ‘খালি করার’ করার প্রস্তাবের নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনিরা, যার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তরিত করা হবে। যা জাতিগত নির্মূলের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৭ হাজার ৩০৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এক লাখ ১১ হাজার ৪৮৩ জন আহত হয়েছে।

ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা থেকে বাদ যায়নি এই উপত্যকার মসজিদ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন, এমনকি শরণার্থী শিবিরও।

ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। বর্বর এ বাহিনীর নির্বিচার হামলা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS