তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ত্রিপুরায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ত্রিপুরা রাজ্যের আটটি জেলার ৬ হাজার ৬০০ পরিবারের ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয়শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যায় এক হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এ সময় মুখ্যমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অতিরিক্ত ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) কর্মীদের মোতায়েন করার কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (এনএফআর) ত্রিপুরায় ১০টি লোকাল ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে। এনএফআরের একজন মুখপাত্র বলেন, ভারী বৃষ্টির কারণে গোমতি জেলায় রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষ ট্রেনগুলোর যাত্রা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।
ত্রিপুরা রাজ্য প্রশাসনের অনুরোধের পর আসাম রাইফেলসের চারটি ব্যাটালিয়ন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে। একজন প্রতিরক্ষা মুখপাত্র বলেন, আসাম রাইফেলস বন্যায় আটকে পড়া নাগরিকদের উদ্ধারে বেসামরিক প্রশাসনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
এদিকে ত্রিপুরার ডম্বুর হাইড্রোইলেক্ট্রিক পাওয়ার প্রজেক্ট বা ডম্বুর গেট খুলে দিয়েছে রাজ্যটির প্রশাসক। এই বাঁধ খুলে দেয়ায় ভারতের পানি ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশে। যা সর্বশেষ ১৯৯৩ সালে খুলে দিয়েছিল ভারত।
গোমতী জেলার জেলাশাসক তরিৎ কান্তি চাকমা এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যাণ্ডেলে জানিয়েছেন, গোমতী নদীতে জলস্তর বেড়ে যাওয়ার ফলে ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধের জলস্তরও বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলেছিল। বাঁধ বাঁচাতে গেট খুলে জল ছেড়ে দিতে হয়েছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply