মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন

জুলাইয়ে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে

খবর রয়টার্স
  • আপডেট : রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০২৪

বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম জুলাইয়ে আগের মাসের তুলনায় কিছুটা কমেছে। এ সময় নিম্নমুখী ছিল খাদ্যশস্যের দাম। তবে গত মাসে উদ্ভিজ্জ তেল ও চিনির দাম বেড়েছে। অন্যদিকে স্থিতিশীল ছিল দুগ্ধজাত পণ্যের দাম।

গতকাল প্রকাশিত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিভাগের (এফএও) মাসভিত্তিক মূল্যসূচক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এফএওর মূল্যসূচক মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হওয়া খাদ্যপণ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাইয়ে বৈশ্বিক খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যসূচক ছিল ১২০ দশমিক ৮ পয়েন্ট। জুনে এফএওর নির্ধারিত সংশোধিত খাদ্য মূল্যসূচক ছিল ১২১ পয়েন্ট। এর আগে প্রাথমিকভাবে জুনের জন্য ১২০ দশমিক ৬ পয়েন্ট নির্ধারণ করেছিল সংস্থাটি।

জুনে খাদ্যপণ্যের এফএও মূল্যসূচক গত বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ১ শতাংশ এবং ২০২২ সালের মার্চের তুলনায় ২৪ দশমিক ৭ শতাংশ কম। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ‍শুরুর পরের মাসে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যপণ্যের এফএও সূচক গত তিন বছরে সর্বনিম্নে নেমে যায়।

জাতিসংঘের সংস্থাটি জুলাইয়ে বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্যের মূল্যসূচক ১১০ দশমিক ৮ পয়েন্ট নির্ধারণ করে। নির্ধারিত এ মূল্যসূচক এর আগের মাসের তুলনায় ৪ দশমিক ৪ পয়েন্ট (৩ দশমিক ৮ শতাংশ) এবং গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ১ পয়েন্ট (১২ শতাংশ) কম। সব প্রধান খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক রফতানি মূল্য টানা দ্বিতীয় মাসে কমেছে। বিশ্বের প্রধান উৎপাদনকারী অঞ্চল থেকে সরবরাহ বৃদ্ধি দাম কমার পেছনে ভূমিকা রেখেছে। জুলাইয়ে এফএও চালের মূল্যসূচক ২ দশমিক ৪ শতাংশ কমিয়েছে।

এদিকে জুলাইয়ে উদ্ভিজ্জ তেলের মূল্যসূচক এর আগের মাসের তুলনায় বাড়িয়েছে এফএও। পণ্যটির মূল্যসূচক সংস্থাটি ১৩৫ পয়েন্ট নির্ধারণ করে, যা জুনের তুলনায় ৩ দশমিক ২ পয়েন্ট (২ দশমিক ৪ শতাংশ) বেশি এবং গত দেড় বছরে সর্বোচ্চে।

বিশ্বব্যাপী দুগ্ধজাত পণ্যের দাম জুলাইয়ে স্থিতিশীল ছিল। এফএও গত মাসের দুগ্ধজাত পণ্যের মূল্যসূচক ১২৭ দশমিক ৭ পয়েন্ট নির্ধারণ করে। জুনেও একই মূল্যসূচক নির্ধারণ করেছিল সংস্থাটি। তবে জুলাইয়ের মূল্যসূচক গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ মূল্যসূচক ৮ দশমিক ৬ পয়েন্ট (৭ দশমিক ২ শতাংশ) বেশি। এ সময় বিশ্বব্যাপী গুঁড়া দুধের দাম কমলেও ঊর্ধ্বমুখী ছিল মাখন ও পনিরের বাজার, যা দুগ্ধজাত পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।

এফএওর জুলাইয়ে চিনির মূল্যসূচক ১২০ দশমিক ২ পয়েন্ট নির্ধারণ করে, যা এর আগের মাসের তুলনায় দশমিক ৮ পয়েন্ট (দশমিক ৭ শতাংশ) বেশি। তবে জাতিসংঘের নির্ধারিত এ সূচক গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ১ পয়েন্ট (১৭ দশমিক ৯ পয়েন্ট) কম। বিশ্বের প্রধান চিনি উৎপাদনকারী দেশ ব্রাজিল। গত মাসের প্রথমার্ধে দেশটিতে পূর্বাভাসের তুলনায় উৎপাদন কম হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী চিনির দাম বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া আগামী মাসগুলোয় ব্রাজিলে শুষ্ক আবহাওয়া নিয়ে উদ্বেগ ও ইথানলের দাম বৃদ্ধি বিশ্বব্যাপী চিনির দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS