কুয়েতের মানগাফ শহরে একটি আবাসিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৪০ জনই ভারতীয়। এই ট্রাজেডির পর একটি উচ্চস্তরের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এনডিটিভির প্রতিবেদন মতে, বুধবার (১২ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৬টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগুনে দগ্ধ প্রায় ৪৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তাদের মধ্যেও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, ছয় তলা ভবনের একটি রান্নাঘরে আগুনের সূত্রপাত হয়। ভবনটিতে প্রায় ১৬০ জন লোক বাস করত। যারা একই কোম্পানির শ্রমিক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন থেকে বাঁচতে ভবনের পঞ্চম তলা থেকে কয়েকজন লাফ দিয়ে মারা যান।
ভয়াবহ এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে তিনি বলেন, কুয়েত সিটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি দুঃখজনক। যারা তাদের নিকটাত্মীয়দের হারিয়েছেন তাদের প্রতি আমার সহানুভূতি রয়েছে। আমি আহতদের জন্য প্রার্থনা করছি, তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। কুয়েতে ভারতীয় দূতাবাস পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার জন্য সেখানকার কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করছে।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এক্সে দেয়া এক পোস্টে বলেছেন, কুয়েত শহরে অগ্নিকাণ্ডের খবরে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। সেখানে ৪০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং ৫০ জনের বেশি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। আমাদের রাষ্ট্রদূত ক্যাম্পে গেছেন। আমরা আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।
কুয়েতে ভারতীয় দূতাবাস একটি হেল্পলাইন নম্বর খুলেছে এবং বলেছে, ‘কিছু ভারতীয় এই অগ্নি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন এবং দূতাবাস সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেবে।’
জয়শঙ্কর আরও বলেছেন, যারা মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা। যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত ও পূর্ণ সুস্থতা কামনা করছি। আমাদের দূতাবাস এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বাত্মক সহায়তা দেবে।
স্থানীয় একজন সিনিয়র পুলিশ কমান্ডারের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলেছে, যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে, সেটি শ্রমিকদের থাকার জন্য ব্যবহৃত হতো এবং সেখানে প্রচুর সংখ্যক শ্রমিক ছিল। তাদের অনেককে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আগুনের ধোঁয়ায় শ্বাস না নিতে পেরে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আবাসনে একসঙ্গে অনেক বেশি শ্রমিককে না রাখার জন্য আমরা সবসময়ই সতর্ক করে আসছি।’ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ এর কারণ অনুসন্ধান করছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply