বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
অনলাইন প্রতারণার শিকার: চুয়াডাঙ্গায় ৫ লাখ টাকা হারিয়ে উধাও বিকাশ এজেন্ট, এলাকায় তোলপাড় লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ওরিয়ন ফার্মা ফ্যামিলিটেক্স দর পতনের শীর্ষে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক দর বৃদ্ধির শীর্ষে সামিট অ্যালায়েন্স লেনদেনের শীর্ষে পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে ফার কেমিক্যাল পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে ওরিয়ন ইনফিউশন মাধবপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান জয়-কে পুলিশে দিল ছাত্রজনতা স্বাধীনতা থেকে জুলাই চেতনার পালাবদল পেয়েছে: মোমিন মেহেদী আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে জামায়াতের ‘দায়িত্বশীল সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত

ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নীতিমালা, লাইসেন্স ও আধুনিকায়ন

সম্রাট
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সারাদেশের ৫০ লাখ ব্যাটারিচালিত রিক্সা, ইজিবাইক ও সমজাতীয় যানবাহনের চালকদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। আপনি জানেন রিকশা চালানো কত অমানবিক পরিশ্রমের কাজ। সাম্প্রতিক প্রচন্ড দাবদাহে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের অধিকাংশই রিকশা চালক। চালকদের এই পরিশ্রম লাঘব করা, যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা বিবেচনা করে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে রিক্সায় ব্যাটারি স্থাপন করা শুরু হয়।

প্রথমদিকে নির্মাণজনিত কিছুটা দুর্বলতা থাকলেও ইতিমধ্যে তার অনেকাংশই দূর করে আধুনিকায়ন করা সম্ভব হয়েছে। ফলে দ্রুত এই বাহন যেমন জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে তেমনি ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। এই সব বাহন ব্যবহার সহজ, সস্তা এবং শহরের ছোট রাস্তায় চলতে পারে বলে স্বল্প আয়ের মানুষের দৈনন্দিন কাজে এক অপরিহার্য বাহন হয়ে দাড়িয়েছে। মানননা মন্ত্রী, আপনি জানেন, সারা দেশে প্রায় ৫০ লাখ চালক পরিবার এইসব ব্যাটারি চালিত খ্রি হইলার ও সমজাতীয় যানবাহনের উপর প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল। এইসব যানবাহন তৈরি, মেরামত, খুচরা যন্ত্রাংশে নির্মাণ, বিক্রি, চার্জিং সহ নানা ধরনের কাজে অসংখ্য মানুষের জীবন ও জীবিকা নির্ভরশীল।

সকল জেলা ও বিভাগে নগর পরিবহণ না থাকায় কোটি কোটি মানুষ এইসব পরিবহন ব্যবহার করে গাকে। এই খাত যেমন বিপুল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে তেমনি দেশের অর্থনীতিতেও এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এইসব বাহন বিদ্যুতে চলে বলে পরিবেশ দূষণ কম করে কিন্তু বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। অনন্ত আপনি জানেন, এইসব বাহনের চালকেরা বিদ্যুৎ চুরি করে না বরং বর্ধিত দামে (প্রায় ২০ টাকা ইউনিট। বিদ্যুৎ কিনে থাকে। তাই কোটি মানুষের জীবিকা, যাতায়াত এবং দেশের অর্থনীতির বিকাশের স্বার্থে এই খাত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার মাধ্যমে এই খাতের উন্নতি ও শৃঙ্খলা আসবে তা আমরা প্রত্যাশা করি। আমরা মনে করি, নিম্নোক্ত বিষয়ে আপনার সিদ্ধান্ত এই খাতকে গতিশীল গণপরিবহনে পরিণত করবে।

১। ব্যাটারিচালিত খ্রি খইলার ও সমজাতীয় মোটরযান নীতিমালা-২০২১ চুড়ান্ত ও দ্রুত গেজেট প্রকাশে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন;

২। নীতিমালার আলোকে ব্যাটারি রিক্সা ও ইজিবাইকের নিবন্ধন, লাইসেন্স ও রুট পারমিট প্রদান করুন।

৩। কারিগরি ত্রুটি সংশোধন করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের আধুনিকায়ন করুন।

৪। চার্জিং স্টেশন স্থাপন করে বিদ্যুৎ চুরি ও অপচয় বন্ধ করে ও রাষ্ট্রীয় কোষাগার সমূদ্ধে সহায়তা করা।

৫। চালকসহ সংশ্লিষ্টদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে সড়কের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা

৬। চাঁদাবাজি, হয়রানি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন;

৭। প্রতিটি সড়ক মহাসড়কে স্বপ্ন গতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেইন তৈরি করুন যাতে সড়কে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। মাননীয় মন্ত্রী;

আমরা মনে করি আপনি উদ্যোগ নিলে এই খাতের সংকট দূর করে উন্নত সেবা প্রদান করা সম্ভব। তাই আপনার মাধ্যমে ৫০ লাখ চালক ও তার উপর নির্ভরশীল কোটি কোটি মানুষের জীবিকা ও জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ আমরা প্রত্যাশা করি।

ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নীতিমালা চূড়ান্ত কর গেজেট প্রকাশ এবং তার আলোকে গাড়ির নিবন্ধন, ঢাবকদের লাইসেন্স ও রুট পারমিটসহ ৭ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের দাবিতে রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ আজ ২৭ মে সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে স্মারক লিপি প্রদানের কর্মসুচি পালন করেছে।

সংগ্রাম পরিষদ কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের আহবায়ক খালেকুজ্জামান দিপনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য কন্যার সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগ্রাম পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সভাপতি ও রূপের অন্যতম নেতা কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক সভাপতি শ্রমিক কর্মচারী অন্যতম নেতা ও সংগ্রাম পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, সংগ্রাম পরিষদ কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ সদস্য আবু নাঈম খান বিপ্লব, এস

এম কাদির, ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি জালাল আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক দাউদ আলী মামুন, অর্থ সম্পাদক রোখশানা আফরোজ আশা, তানভীর নাঈম, সদস্য সেকান্দার আলী, সুমন খান, আব্দুস সালাম, মোশাররফ হোসেন, জয়নাল আবেদীন। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, আপনারা জানেন রিক্সা চালানো কত অমানবিক পরিশ্রমের কাজ। সাম্প্রতিক প্রচন্ড দাবদাহে যারা মৃত্যুবরণের করেছেন তাদের অধিকাংশ রিকশাচালক। চালকনের এই পরিশ্রম লাঘব করা, যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা বিবেচনা করে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে রিক্সায় ব্যাটারি স্থাপন করা হয়। এখন তার দুর্বলতা কাটিয়ে অনেক আধুনিকায়ন হয়েছে। ফলে দ্রুত এই যানবাহন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সারাদেশে প্রায় ৫০ লাখ চালক পরিবার এইসব ব্যাটারি চালিত থ্রি হুইলার চালানোর উপর প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল। এইসব যানবাহন তৈরি, মেরামত, খুচরা যন্ত্রাংশ নির্মাণ, ব্যাটারি, পার্টস বিক্রিসহ নানা ধরনের কাজে আরোও প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন জেলা ও বিভাগের পর্যাপ্ত নগর পরিবহন না থাকায় কোটি কোটি মানুষ এ পরিবহন ব্যবহার করে। দেশে বিপুল কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এ সেক্টরের সাথে যুক্ত মানুষেরা।

নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিগত প্রায় ১২ বছর যাবত নীতিমালা তৈরি করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্সের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে সংগ্রাম পরিষদ। কিন্তু এখনও নীতিমালা আলোর মুখ দেখেনি। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিক্সা, ইজিবাইক বন্ধ ঘোষণা পর ঢাকা মহানগরে রিকশা চালকদের ব্যাপক আন্দোলনের মুখে সরকার প্রধান রিকশা চালকদের দাবি মানতে বাধ্য হন। কিন্তু তারপরেও ঢাকা মহানগরের বেশ কিছু এলাকায় কার্ড/টোকেন ব্যবসায়ীরা পুলিশের সাথে জোগসাজোশ করে রিক্সা শ্রমিকদের উপর অবৈধ চাঁদাবাজি করছে।

নেতৃবৃন্দ এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। রিকশা শ্রমিকদের নামে ঢাকা, বরিশাল, সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকার রিকশা শ্রমিক ও ও সংগ্রাম পরিষদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন দেশের ও সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের স্ত্রী-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযান নীতিমালা চূড়ান্ত ও গেজেট প্রকাশ ও তার আলোকে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের দ্রুত নিবন্ধন, লাইসেন্স ও রুট পারমিটসহ সংগ্রাম পরিষদ ঘোষিত ৭ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়ে হয়ে সচিবালা অভিমুখে রওনা করলে নুর হোসেন স্কয়ারে পুলিশী বাধার মুখে পরে। সেখান থেকে সংগ্রাম পরিষদ এর কেন্দ্রীয় নেতা জন্মম্মাদিন দত্ত-লীটু, এস এম কাদির এর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি টিম বাংলাদেশ সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিবালয়ে স্মারকলিপি পেশ করে।

-সম্রাট

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS