বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
অনলাইন প্রতারণার শিকার: চুয়াডাঙ্গায় ৫ লাখ টাকা হারিয়ে উধাও বিকাশ এজেন্ট, এলাকায় তোলপাড় লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ওরিয়ন ফার্মা ফ্যামিলিটেক্স দর পতনের শীর্ষে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক দর বৃদ্ধির শীর্ষে সামিট অ্যালায়েন্স লেনদেনের শীর্ষে পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে ফার কেমিক্যাল পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে ওরিয়ন ইনফিউশন মাধবপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান জয়-কে পুলিশে দিল ছাত্রজনতা স্বাধীনতা থেকে জুলাই চেতনার পালাবদল পেয়েছে: মোমিন মেহেদী আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে জামায়াতের ‘দায়িত্বশীল সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত

সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ কমেছে ৮ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪

সঞ্চয়পত্রে মানুষের বিনিয়োগ কমছে। এ কারণে এই উৎস থেকে সরকারের ঋণ কমছে ধারাবাহিকভাবে। আবার সুদহার অনেক বেড়ে যাওয়ায় কেউ কেউ এখন ট্রেজারি বিল-বন্ডে টাকা খাটাচ্ছেন। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ ৮ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা কমেছে। গত অর্থবছর সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ কমেছিল ৩ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের সঞ্চয় প্রবণতা কমেছে। এ ছাড়া স্বল্পমেয়াদি ট্রেজারি বিলে টাকা রেখে এখন সাড়ে ১১ শতাংশের মতো সুদ পাওয়া যাচ্ছে, সঞ্চয়পত্রের তুলনায় যা বেশি। ট্রেজারি বন্ডে সুদ পাওয়া যাচ্ছে ১২ শতাংশের বেশি। ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মুনাফার বিপরীতে কোনো কর কাটা হয় না। এসব কারণে অনেকেই এখন সঞ্চয়পত্রে টাকা না রেখে বিল ও বন্ড কিনছেন।

এদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারের ঋণ কমিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকে বাড়ানো হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারের ঋণ ৩৪ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। একই সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ৪৫ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা নেওয়া হয়। এতে প্রথম ৮ মাসে ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের নিট ঋণ বেড়েছে মাত্র ১০ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছর সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ১৮ হাজার কোটি টাকা এবং ব্যাংক ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

জানা গেছে, ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে সরকার ঋণ নিচ্ছে কম। গত অর্থবছর সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকার ১ লাখ ২২ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। এর মধ্যে শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নেওয়া হয় ৯৭ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা।

দেশে দীর্ঘদিন ধরে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের আশপাশে রয়েছে। গত মার্চ শেষে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। উচ্চ মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে গ্রাহকদের একটি অংশ মেয়াদপূর্তির আগেই সঞ্চয়পত্র ভেঙে ফেলছে। মেয়াদপূর্তির আগে নগদায়ন করলে সুদ কম পাওয়া যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS