শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৬১ আসামিকে পলাতক দেখিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সিআইডি কমিউনিটি ব্যাংক ও উইগ্রো টেকনোলজিসের মধ্যে কৃষি সেবায় ব্যবসায়িক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর ওমরাহ ভিসা নিয়ে নতুন নিয়ম জারি সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মেট্রো লাইন স্থানান্তর শুরু, বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের অনুরোধ যৌথ বাহিনীর পরিচালিত অভিযানে সারাদেশে আটক ১৪৯ জন খাগড়াছড়ির গুইমারায় নিরীহ ৩ নাগরিককে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ লভ্যাংশ ঘোষণা একমি পেস্টিসাইডসের লভ্যাংশ ঘোষণা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ ন্যাশনাল ব্যাংকের

গাইবান্ধায় একদিনের শিশুকে বিক্রির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় অভাবের তাড়নায় একদিনের শিশু সন্তানকে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক দম্পতির বিরুদ্ধে। তবে এই ছেলে শিশু বিক্রি নয় বরং দত্তক দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত ওই দম্পত্তি।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার অভিযোগ পাওয়া যায়।

সন্তান বিক্রির সঙ্গে অভিযুক্ত দম্পতি হলেন- ভবানীপুর গ্রামের উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মৃত নয়ন চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে হেরেন বিশ্বাস ও তার স্ত্রী ঝুম্পা বেগম।

অভিযুক্ত ক্রেতা দু’জন হলেন- গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার প্রান্ত ও একই উপজেলার পান্থাপাড়া গ্রামের গোবিন্দ দাসের স্ত্রী ভক্তিরানী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হেরেন বিশ্বাস পেশায় একজন স্বর্ণের দোকানের কর্মকার। তিনি এলাকায় একজন জুয়ারি হিসেবেও পরিচিত। জুয়া খেলে তিনি ঋণগ্রস্ত হয়েছেন। এই ঋণ পরিশোধ করতে সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া একদিনের ছেলে সন্তানকে বিক্রি করেছেন হেরেন ও ঝুম্পা দম্পত্তি।

আজ থেকে প্রায় বিশ বছর আগে বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের পর সংসারে পর পর চার পুত্র সন্তানের জন্ম দেন এই দম্পতি। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে আরও এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া এই একদিনের শিশু সন্তানকে দুই লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয় ওই দম্পতি। সন্তান বিক্রির টাকায় রাতেই বেশ কয়েকজনের ঋণও পরিশোধ করেন বলে জানিয়েছেন তারা।

তবে সন্তান বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ওই দম্পতি। অভিযুক্ত পিতা হেরেন চন্দ্র মুঠোফোনে বলেন, আমি সন্তান বিক্রি করিনি, দত্তক দিয়েছি। আমি স্বর্ণের দোকানে কাজ করি। সামান্য মজুরি পাই। পর পর চারটি ছেলে সন্তান হওয়ায় এবার একটি মেয়ে সন্তান আশা করেছিলাম। মেয়ে হলে দত্তক দিতাম না।

টাকার বিনিময়ে দত্তক দিলেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি ফোনের সংযোগ কেটে দেন।

পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সন্তান বিক্রি করা আইনত অবৈধ। সন্তান বিক্রি বা দত্তক দেওয়ার কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS