রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ মার্কেন্টাইল ইসলামী ইন্সুরেন্সের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ কোহিনূর কেমিক্যালের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ ঢাকা ইন্সুরেন্সের প্রিমিয়ার লিজিং সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে শেষ হলো আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা: প্রায় ৪০ কোটি টাকার ব্যবসা, বিমান বাংলাদেশের ৩ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি, প্রায় ৪০ হাজার দর্শনার্থীদের উপস্থিতি অষ্টগ্রামে বাঙ্গাল পাড়ায় নদী ভাঙনে বাড়িঘর ও বিদ্যুৎ লাইনের খুটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে ঢাকাস্থ বগুড়াবাসীর মিলনমেলা অনুষ্ঠিত ভৈরবে নৌ পুলিশের অভিযানে ভারতীয় ৬০ বস্তা ফোসকা সহ আটক ৪ ব্লাকহেড জব্দ

হাতীবান্ধা হাসপাতালে সাইনবোর্ড আছে, নেই ডাক্তার

 রেজাউল ইসলাম
  • আপডেট : রবিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৪

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধিঃ শীতের যত প্রকোপ বাড়ছে শীতজনিত রোগ ততই বাড়ছে। উত্তরের জেলা লালমনিরহাট প্রতি বছরেই শীতকালীন সময় যেন অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য মরার উপর খারার ঘা হয়ে দাড়ায়। রবিবার সকালে সরেজমিনে হাতীবান্ধা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় শীত জনিত শিশু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। এর সাথে বাড়ছে বৃদ্ধ- বৃদ্ধাদের নানান শীতজনিত রোগ।

 হিমালয় অঞ্চলের পাশের এলাকা হাতীবান্ধা পাটগ্রাম অঞ্চল হওয়ায় শীতের তীব্রতা এখানে অনেক বেশী।  শীতজনিত রোগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা অনেক রোগী সুচিকিৎসা না পেয়ে যেতে হচ্ছে আশি কিলোমিটার দুরের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তবে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাঃ শাহানা আফরীন  (জুনিয়র কনসালটেন্ট-শিশু)নামের একজনের নেমপ্লেট একটি কক্ষে লাগানো থাকলেও তার দেখা পাচ্ছেনা দুরদুরান্ত থেকে সেবা নিতে আসা শিশু রোগীরা।

বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায় ডাঃ শাহানা আফরিন হাতীবান্ধা হাসপাতালে সপ্তাহে একদিন চিকিৎসা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি ঠিকমত  আসেননা। এতে করে শিশুরোগীরা চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মোসলেহা নামে একজন শিশু রোগীর মা জানান আমার ছয় মাসের সন্তানের শীতজনিত রোগ হওয়ায় শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না পেয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আনোয়ারুল হক এর তত্বাবধানে চিকিৎসা নিয়েছি।

সিন্দুর্না থেকে আসা লতা বেগম জানান আমি দুইদিন এসে শিশু বিশেষজ্ঞ না পেয়ে জরুরী বিভাগের চিকিৎসকের সেবা নিয়েছি, তবে তিনি দাবী করে বলেন এই হাসপাতালে একজন নিয়মিত শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের খুবই প্রয়োজন। এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আনোয়ারুল হক জানান শীত বেশী  হওয়ায় প্রতিদনই শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ হাসানুল জাহিদ জানান লালমনিরহাট  সদর হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় লোকাল অর্ডারে সেখানেই চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন ডাক্তার শাহানা আফরীন। তবে হাতীবান্ধা হাসপাতালে সপ্তাহে একদিন চিকিৎসা দেওয়ার কথা ছিলো, যতদিন সদরে রোগীর সংখ্যা না কমবে ততদিন সেখানেই তিনি থাকবেন।

এবিষয়ে ডাঃ শাহানা আফরিন জানান আমি অসুস্থ থাকার কারনে হাসপাতালে উপস্থিত হতে পারিনি তবে আজ রবিবার  সদরে যোগদান করেছি হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও নিয়মিত চিকিৎসা সেবা প্রদান করবো। 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS