অনুপম আদর্শের মহামানব মুহাম্মদ সা.। উত্তম চরিত্র আর চরিত্র মাধুর্যতাই ছিলো তার শ্রেষ্ঠ গুণ। রাসুল সা. তারপরও সবসময় উত্তর চরিত্র আর অনুপম আদর্শের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করতেন। মানুষ বলে ব্যবহারই বংশের পরিচয়। ব্যবহারে যার মাধুর্যদা রয়েছে তাকেই উত্তম মানুষ মনে করা হয়। রাসুল সা. এজন্যই সবসময় আল্লাহর দরবারে উত্তম আচরণের জন্য দোয়া করতেন।
মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ উত্তম চরিত্র। এটিই জান্নাতে যাওয়ার অন্যতম সোপান। রাসুল সা. চরিত্র সংশোধনে গুরুত্ব দিয়েছেন অনেক অনেক বেশি। উত্তম চরিত্রের জন্য তিনি দোয়া করেছেন। আমাদের কয়েকটি দোয়া শিখিয়েছেন।
اللَّهُمَّ أَلِّفْ بَيْنَ قُلُوبِنَا، وَأَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِنَا উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আল্লিফ বাইনা ক্বুলুবিনা, ওয়াসলিহ যাতা বাইনিনা। অর্থ: হে আল্লাহ,আমাদের হৃদয়গুলোর মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি কর আর আমাদের (বিবদমান বিষয়গুলো) সমাধান করে দাও। (আবু দাউদ ৯৬৯)
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الْأَخْلَاقِ، وَالْأَعْمَالِ، وَالْأَهْوَاءِ والْأَدْوَاءِ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন মুনকারাতিল আখলাকি ওয়াল আ’মালি, ওয়াল আহওয়াই ওয়াল আদওয়াই।
অর্থ: হে আল্লাহ তোমার কাছে খারাপ চরিত্র, অন্যায় কাজ, কু প্রবৃত্তি এবং দুরারোগ্য ব্যাধী থেকে আশ্রয় চাই। (তিরমিজি)
اللَّهُمَّ اهْدِنِي لأَحْسَنِ الأَعْمَالِ وَأَحْسَنِ الأَخْلاقِ ، فَإِنَّهُ لا يَهْدِي لأَحْسَنِهَا إِلا أَنْتَ ، وَقِنِي سَيِّءَ الأَعْمَالِ وَسَيِّءَ الأَخْلاقِ ، فَإِنَّهُ لا يَقِي سَيِّئَهَا إِلا أَنْتَ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইহদিনি লিআহসানিল আ’মাল ওয়া আহসানিল আখলাক, ফাইন্নাহু লা ইয়াহদি লিআহসানিহা ইল্লা আনতা, ওয়া ক্বিনি সাইয়ে আলআ’মালি, ওয়া সাইয়িআল আখলাকি, ফাইন্নাহু লা ইয়াকি সাইয়িআহা ইল্লা আনতা।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমাকে সর্বোত্তম কাজ ও উন্নততর চরিত্রের দিশা দাও। কেননা, তুমি ছাড়া এ পথের দিশা অন্য কেউ দিতে পারে না। আর অন্যায় কাজ ও খারাপ চরিত্র থেকে আমাকে রক্ষা কর। কেননা, তুমি ছাড়া অন্য কেউ এ থেকে রক্ষা করতে পারে না। (নাসাঈ)
اللَّهُمَّ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ فَأَيُّ الْمُسْلِمِينَ لَعَنْتُهُ أَوْ سَبَبْتُهُ فَاجْعَلْهُ لَهُ زَكَاةً وَأَجْرًا উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নামা আনা বাশারুন ফাআইয়ুল মুসলিমিনা লাআনতাহু আও সাবাবতুহু ফাআজআলহু লাহু জাকাতান ওয়া আজরান।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমি তো একজন মানুষ মাত্র। সুতরাং আমি কোন মুসলিমকে গালি বা অভিশাপ দিয়ে থাকলে সেটাকে তুমি তাকে (গুনাহ থেকে) পবিত্র করার মাধ্যম বানিয়ে দাও এবং তাকে তার বিনিময় দাও। (মুসলিম)
اللَّهُمَّ مَنْ وَلِىَ مِنْ أَمْرِ أُمَّتِى شَيْئًا فَشَقَّ عَلَيْهِمْ فَاشْقُقْ عَلَيْهِ وَمَنْ وَلِىَ مِنْ أَمْرِ أُمَّتِى شَيْئًا فَرَفَقَ بِهِمْ فَارْفُقْ بِهِ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা মান ওয়ালিয়া মিন আমরি উম্মাতি শাইআন ফাশাক্কা আলাইহিম ফা আশকুক আলাইহি ওয়া মান ওয়ালিয়া মিন আমরি উম্মাতি শাইআন ফারফাক্বা বিহিম ফারকুক বিহি।
অর্থ: হে আল্লাহ কেউ আমার উম্মতের কোন বিষয়ে দায়িত্বশীল হয়ে যদি তাদের সাথে কঠিন আচরণ করে তবে তুমিও তার সাথেও কঠিন আচরণ কর। আর কেউ কোন বিষয়ে দায়িত্বশীল হয়ে যদি তাদের সাথে নম্রতা সুলভ আচরণ করে তার প্রতি তুমিও তার প্রতি দয়া পরবশ হও। (মুসলিম)
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لاَ يَنْفَعُ، وَعَمَلٍ لاَ يُرْفَعُ، وَقَلَبٍ لاَ يَخْشَعُ، وَقَولٍ لاَ يُسْمَعُ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিন ইলমিন লা ইয়ানফাউ, ওয়া আমালিন লা ইউরফাউ, ওয়া কালবিন লা ইয়াখসা, ওয়া ক্বওলিন লা ইউসমাউ।
অর্থ: হে আল্লাহ, তোমার নিকট আশ্রয় চাই এমন জ্ঞান থেকেযা কোন উপকার করে না, এমন আমল থেকে যা উপরে উঠানো হয় না, এমন অন্তর থেকে যা ভীত হয় না এবং এমন কথা থেকে যা শুনা হয় না। (মুসলিম)
اللَّهُمَّ كَمَا حَسَّنْتَ خَلْقِي فَأَحْسِنْ خُلُقِي উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা কামা হাসসানতা খালকি ফা আহসিন খুলুকি।
অর্থ: হে আল্লাহ, তুমি আমার দৈহিক অবয়ব যেমন সুন্দর করেছ তেমনি আমার চরিত্রও সুন্দর করে দাও। (মুসনাদ আহমদ ৫০৯৯)
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply