চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: আমি স্বাস্থ্য খাতকে অধিক গুরুত্ব দিতে চায়। চুয়াডাঙ্গা জেলায় স্বাস্থসেবার মান মোটেও কাক্সিক্ষত না। স্বাস্থ্যসেবার মান এক মাসে ভালো করে দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে আলমডাঙ্গার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। আলমডাঙ্গা টকিজ সিনেমা হলের অডিটরিয়ামে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন গগণমানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি ওই বক্তব্য রাখেন।
এ সময় তিনি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচীর দুর্নীতিসহ অন্যান্য খাতের দুর্নীতি কীভাবে দুর করা সম্ভব তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেন। তিনি আলমডাঙ্গাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করেছেন বলেন জানান। তিনি বলেন, ভেটেরিনারি ইন্সটিটিউটকে কলেজে রুপান্তরিত করা, ব্ল্যাকবেঙ্গল রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা কিংবা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিভিশনাল কার্যক্রম আলমডাঙ্গায় ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে স্থানীয়ভাবে ফাইল তৈরি করে দিলে তিনি বাস্তবায়ন করতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন, আপনাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনারা নিজের জন্য না সমাজের জন্য বাঁচবেন। যারা সমাজের জন্য বাঁচতে চান, তাদেরকে আমি উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে পেতে চাই। তিনি শিক্ষার মান নিয়েও অসন্তষ্টি প্রকাশ করেন। ম্যানেজিং কমিটির জন্য শিক্ষার মান নিম্নমুখী বলেও মন্তব্য করেন। তিনি প্রত্যেক ইউনিয়নে খেলার জন্য, শরীরচর্চার জন্য ও চিত্তাকর্ষণের জন্য একটা করে মাঠ নির্মাণ করতে চান বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় গাছে কে উঠলো তাকে কীভাবে টেনে নামাতে হবে সেই অপচেষ্টা হয়। কিভাবে কষ্ট করে গাছে উঠেছে, কীভাবে তাকে আরও সহযোগিতা করা যায় তা ভাবেন না। জেলায় সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জেলা পর্যায়ের অফিসগুলো বিকেন্দ্রীকরণ করা দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এলাকার ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব দূর করার ব্যাপারে তিনি নিজের পায়ে দাঁড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ভালো প্রজেক্ট নিয়ে আসেন, আমি সার্বিক সহযোগিতা করবো।
মতবিনিময় সভার প্রারম্ভেই তিনি সকল সাংবাদিককে স্মার্ট চুয়াডাঙ্গার শ্লোগান সংবলিত উত্তরীয় পরিয়ে দেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী গ্রন্থ সকলকে প্রদান করেন।
এসময় সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক রহমান মুকুল, ফিরোজ ইফতেখার, প্রশান্ত বিশ্বাস, আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাহিদ হাসান, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম, কাজী রবিউল ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ আলম মন্টু, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এনএইচ শাওন, সিনিয়র সাংবাদিক মোল্লা জামশিদুল হক মুনি, সিনিয়র সাংবাদিক ইউনুস আলী মন্ডল, অনিক সাইফুল, এমদাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম রোকন, সোহেল হুদা, এখলাস উদ্দীন, তানভীর সোহেল, সাইফুল ইসলাম উলু, জাফর জুয়েল. রাশেদুজ্জামান রাজীব, সোহেল তামজিদ হিরো, এম সনজু আহমেদ, আব্দুল্লাহ হক, আল-আমিন হোসেন, রফিকুল ইসলাম রফিক, সোহাগ আলী, মীর রোকনুজ্জামান, সাইদুল ইসলাম, সালাউদ্দিন, শাহরিয়ার শরিফ, খন্দকার হাবিবুর রহমান রুনু, আতিক বিশ্বাস, গোলাম সরোয়ার সদু, শাহাবুল ইসলাম, কবি গোলাম রহমান চৌধুরী, মাহাসিন আলী প্রমুখ।
মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিভিশন পূণরুদ্ধার, ভেটেরিনারি ইন্সটিটিউটকে কলেজে রুপান্তরিত, ব্ল্যাকবেঙ্গল রিসার্চ ইন্সটিটিউট, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, অডিটরিয়াম নির্মাণ করে দেওয়ার দাবি তোলেন। মতবিনিময় শেষে সকল সাংবাদিক আন্তরিক পরিবেশে তৃপ্তিদায়ক নৈশভোজে মিলিত হন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply