শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করেছে ওয়াটা কেমিক্যালস প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করেছে রহিমা ফুড কর্পোরেশন প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল টিউবস প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করেছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করেছে বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার সাউন্ডবাংলা-গ্লোবাল এডুকেশন হাব শিক্ষা সম্মাননা অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে শিক্ষার সকল শাখায় ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ছাগল চুরি ঘটনা মিথ্যা প্রমাণিত, মুক্তি পেল দুই নিরীহ যুবক প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হাউওয়েল টেক্সটাইল প্রধান উপদেষ্টার ভাষন সংকট সমাধানের পরিবর্তে আরও নিত্যনতুন সংকট সৃষ্টি করবে

৫ বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ২৪%

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৩

সংকটের কারণে গত পাঁচ বছরে ডলারের বিপরীতে লাগামহীনভাবে কমেছে টাকার মান। এ সময় অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে বেড়েছে ডলারের দাম। ২০১৯ সালে ১ ডলার কিনতে খরচ হতো ৮৪ টাকা। আর এখন এক ডলারের দাম উঠেছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। এ হিসাবে ৫ বছরে টাকার মান কমেছে ২৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসে প্রতি ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায়। ২০২২ সালে ডলারের দাম প্রথমবারের মতো ৯৫ টাকা ছুঁয়ে ফেলে। ২০২১ সালেও ১ ডলারের দাম ছিলো সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা। ২০২০ সালের শেষ দিনে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, বাজারে ডলারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে অধিকাংশ ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার সহায়তা পাচ্ছে। বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো কৃষকদের জন্য সার ও জ্বালানির এলসি খুলতে বেশি ডলার নিচ্ছেন। অন্যান্য ব্যাংকগুলোকেও রিজার্ভ একটি লম্বা সময় ধরে ডলার সাপোর্ট দিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব কারণে টাকার মান কমতে পারে বলে তারা মনে করছেন।

এদিকে ২০২০ সালে দেশে করোনার কারণে ডলারের চাহিদা কমে যায়। একই বছরে আয়ের পরিমাণ বেশি ছিল। এর ফলে ঐ বছর টাকার মান বেড়েছিল। অন্যান্য সময়ে ডলারের দাম বেড়েছে ১ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত। তবে গত পাঁচ বছরে টাকার মান কমেছে ২৪ শতাংশ। আর এক বছরে টাকার মানের রেকর্ড ১৬ শতাংশ পতন হয়েছে।

চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন মজুমদার অর্থসূচককে বলেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতির চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। কারণ আমাদের উৎপাদন বিদেশি কাঁচামালের উপর নির্ভরশীল, যেগুলো বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আরেকটি খারাপ দিক হলো মুদ্রা হিসেবে টাকা আস্থার সংকটে পড়েছে। অর্থপাচার রোধ করতে পারলে এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনার ব্যবস্থা করতে পারলে এই সংকট সমাধান করা সম্ভব বলে তিনি করে করেন।

তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে প্রতি ডলার কিনতে খরচ হতো ৭০ টাকা ৬১ পয়সায়। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০০৯ সালে যা ছিলো ৬৯ টাকা ১৭ পয়সা। ঐ এক বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছিলো ২ দশমিক ০৮ শতাংশ। এরপর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত প্রতিবছর প্রায় একই হারে টাকার মান কমেছিল।

আট বছর আগে অর্থাৎ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এক ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৭৮ টাকা ৬০ পয়সা। পরের বছর (২০২৬) শেষে ডলার দাম প্রায় একই অবস্থানে ছিল। ঐ এক বছরে ডলারের দাম মাত্র দুই পয়সা বাড়ার কারণে টাকার মান কমেছিলো দশমিক ০৩ শতাংশ। এরপরে ২০১৭ সালে প্রতি ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৮২ টাকা ৫৫ পয়সা, ২০১৮ সালে ৮৩ টাকা ৯০ পয়সায়, ২০১৯ সালে ডলারের দাম বেড়ে হয় ৮৪ টাকা ৯০ পয়সা।

বাংলাদেশে সাধারণত প্রতি বছর ডলারের দাম বাড়ে। তবে ২০২০ সালে কিছুটা ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটে। কারণ ঐ বছর করোনার কারণে পণ্য সরবরাহ বন্ধ ছিল। এতে পণ্য আমদানিতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। আমাদনি কমে যাওয়ায় ও প্রবাসী আয় বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বড় উত্থান হয়। ফলে ঐ বছর ডলারের দাম উল্টো ১০ পয়সা কমেছিলো।

এদিকে বুধবার (৪ অক্টোবর) পর্যন্ত সময়ে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, দেশে রিজার্ভ আছে ২ হাজার ১০৫ কোটি ডলার। রিজার্ভের এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় বহন করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করার সময় বেশ কিছু শর্ত দিয়েছিলো আইএমএফ। এই ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার গত ফেব্রুয়ারিতে পায় বাংলাদেশ। দাতা সংস্থাটির অন্যতম শর্তের ছিলো- চলতি বছরের জুনে প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে ২ হাজার ৫৩০ ডলার এবং ডিসেম্বরে ২ হাজার ৬৮০ ডলারে রাখতে হবে। কিন্তু এখন রিজার্ভ আছে মাত্র ২ হাজার ১০৫ কোটি ডলার। ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি দেওয়ার আগে ইতিমধ্যে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে নিজেদের ব্যর্থতাও তুলে ধরেছে আর্থিক খাতের সংস্থাটি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS