শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করেছে ওয়াটা কেমিক্যালস প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করেছে রহিমা ফুড কর্পোরেশন প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল টিউবস প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করেছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করেছে বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার সাউন্ডবাংলা-গ্লোবাল এডুকেশন হাব শিক্ষা সম্মাননা অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে শিক্ষার সকল শাখায় ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ছাগল চুরি ঘটনা মিথ্যা প্রমাণিত, মুক্তি পেল দুই নিরীহ যুবক প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হাউওয়েল টেক্সটাইল প্রধান উপদেষ্টার ভাষন সংকট সমাধানের পরিবর্তে আরও নিত্যনতুন সংকট সৃষ্টি করবে

খেলাপি ঋণ দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়াল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩

ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কোনভাবেই কমছে না। উল্টো হু হু করে বাড়ছে খেলাপি। চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকার ঋণ। অর্থাৎ উচ্চ খেলাপির ঝুঁকিতে রয়েছে দেশের ব্যাংক খাত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুন শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। এবছরের জুনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরে খেলাপি বেড়েছে ৩০ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি ৮০ লাখ টাকা বা মোট ঋণের ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ ২৪ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা বেড়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন অর্থসূচককে বলেন, দেশের অর্থনীতি গত তিন মাস ভালো যাচ্ছে না। বর্তমানে ডলার সংকটে ব্যবসা করাই কঠিন। সেগুলোর কারণে খেলাপি কতটা বেড়েছে তা বলা কঠিন। তবে আগে থেকেই খেলাপির চর্চা অনেক বেশি ছিলো। এখানে কর্পোরেট খেলাপির পরিমাণই বেশি। খেলাপি তখনই কমবে, যখন এর কারণগুলো বদলানো সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, খেলাপি ঋণ কমানোর দুটো কৌশল রয়েছে। একটি হলো উদারতা আর অন্যটি হলো কঠোরতা। আমাদের দেশের ব্যাংক খাত গত ৮ বছর ধরে উদারতা দেখিয়েছে। এই উদারতা শুধু গ্রাহকের পক্ষেই যায়নি বরং তা যারা ঋণ দিয়েছে তাদের পক্ষেও গিয়েছে। উদার হয়ে ঋণ আদায় সম্ভব হবে না তা আগেই জানা ছিলো।

এদিকে প্রায় দুই বছর ধরে দেশে ডলার সংকট চলছে। সংকট কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের দারস্ত হয় বাংলাদেশ। ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি ছয় কিস্তির মধ্যে আগামী নভেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের কথা রয়েছে।

কয়েক ধাপে ঋণ ছাড়ের ক্ষেত্রে সংস্থাটি ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণও ধাপে ধাপে কমিয়ে আনার শর্ত জুড়ে দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ২০২৬ সালের মধ্যে সরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের নিচে এবং বেসরকারি ব্যাংকে ৫ শতাংশের নিচে নামানোর শর্ত।

তবে বর্তমানে সরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। আইএমএফ’র শর্ত মতে, পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন করা ঋণ, সন্দেহজনক ঋণ ও আদালতের আদেশে খেলাপি স্থগিতাদেশ থাকা ঋণকেও খেলাপি দেখাতে হবে। সেক্ষেত্রে আএমএফ’র হিসাবে খেলাপি দাঁড়াবে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS