রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
আদালতের আদেশে আজ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সহযোগিতা করবে জামায়াত আমির চুয়াডাঙ্গায় শহীদ শরীফ ওসমান হাদীর রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া নাগদাহ ইউনিয়নের বলিয়ারপুর ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে কর্মিসভা ও দোয়া মাহফিল “ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষকে বিজয়ী করার অঙ্গীকার” মেধা ও নৈতিকতার সমন্বয়ে গড়ে ওঠুক আগামীর প্রজন্ম:চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গায় আইইএস জাতীয় মেধাবৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন ময়মনসিংহের বইমেলায় আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী তারেক রহমান আসছেন মানে গণতন্ত্র ফেরত আসছে: মির্জা আব্বাস ভৈরবে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ  মঞ্চনাটকে অবদানের জন্য সিইউকেসি পুরস্কারে ভূষিত হলেন নাট্যকার ড. মুকিদ চৌধুরী প্রিন্সিপ্যাল গ্রুপের “Annual Sales Conference-2025”

বিদেশি ঋণ কমেছে ৪১০ কোটি ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০২৩
  • ২০৫ Time View

বৈশ্বিক সংঘাতে গত বছর থেকে ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। তাতে আমদানি ব্যয় মেটাতে নিয়মিত হিমশিম খাচ্ছে সরকার। ডলার সংকটের এ সময়ে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ দ্রুত কমছে। গত এক বছরে বিদেশি ঋণ কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ বা ৪১০ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ ছিলো এক হাজার ৭৭৬ কোটি ডলার। চলতি সালের জুনে তা কমে এক হাজার ৩৬৬ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এক বছরে এই খাতে বিদেশি ঋণ কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। এর গত ডিসেম্বর শেষে ঋণ ছিল এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা বিভিন্ন পণ্য আমদানির বিপরীতে স্বল্পমেয়াদি এসব ঋণ নেন। সাপ্লায়ার্স ও বায়ার্স ক্রেডিট নামে যা পরিচিত। স্বল্পমেয়াদি এই ঋণ সব চেয়ে দ্রুত বেড়েছিল করোনার মধ্যে। ২০২০ সাল শেষে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ ছিল ৯১৩ কোটি ডলার। এক বছরে আরও ৬৩৩ কোটি ডলার বা ৬৯ দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়ে ২০২১ সাল শেষে হয় এক হাজার ৫৪৬ কোটি ডলার। এরপর আরও বেড়ে যায়। তবে ডলার সংকট শুরুর পর গত বছরের জুনের পর তা কমছে।

বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি এই বিদেশি ঋণের বাইরে বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে মেয়াদি ঋণ নেন উদ্যোক্তারা। গত জুন পর্যন্ত মেয়াদি ঋণের তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তবে গত মার্চ প্রান্তিক পর্যন্ত মেয়াদি ঋণের পরিমাণ ছিল ৮১০ কোটি ডলার। সরকারের ঋণের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৩৫৩ কোটি ডলার। এসব ঋণের কিস্তি পরিশোধেও একটা চাপ তৈরি হয়েছে। যে কারণে সরকার বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন উপায়ে আমদানি কমানো এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ভালো প্রবৃদ্ধির পরও ডলার বাজারে সংকটের মূল কারণ ঋণ পরিশোধের চাপ। বাজার ঠিক রাখতে চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে আরও ১০০ কোটি ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত অর্থবছর বিক্রি করা হয় রেকর্ড এক হাজার ৩৫৮ কোটি ডলার।

জানা গেছে, স্বল্পমেয়াদি ঋণ কমার প্রধান কারণ সুদহার ও বিনিময় হার। বর্তমানে বিদেশি ঋণে সুদ গুনতে হচ্ছে ৯ শতাংশের বেশি। গত বছরের এ সময়ে যা ৩ শতাংশের নিচে ছিল। আবার গত বছরের শুরুর তুলনায় এখন প্রতি ডলার কিনতে ২৫ টাকার মতো বেশি খরচ করতে হচ্ছে। বিনিময় হার বা সুদহার এ পর্যায়ে স্থিতিশীল থাকবে কিনা তা কেউ বলতে পারছে না। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা মুডি’স সম্প্রতি বাংলাদেশের কান্ট্রি রেটিং কমিয়েছে। এসঅ্যান্ডপির রেটিং কমানোর আভাস দিয়েছে। ফলে বেশি সুদে বিদেশি ঋণ পাওয়াও অনেক ক্ষেত্রে এখন কঠিন হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক অনেক ব্যাংক বাংলাদেশি কোনো কোনো ব্যাংকের ক্রেডিট লাইন বা ঋণসীমা কমিয়েছে।

ব্যাংকাররা জানান, করোনার শুরুর দিকে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে স্থবিরতা ছিল। তখন বিদেশি ঋণের সুদহার অনেক কমে যায়। ওই সময়ে ডলারের প্রয়োজনীয়তাও কম ছিল। তবে কোনো ধরনের হিসাব ছাড়াই সাময়িক লাভের জন্য এখানে ঋণ বাড়ানো হয়। ওই সময় ঋণ বাড়ানোর ফলে রিজার্ভ দ্রুত বেড়েছিল। ২০২০ সালের শুরুতে রিজার্ভ ছিল ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। দ্রুত বেড়ে ২০২১ সালের আগস্টে রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS