নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সদর উপজেলার বাঁদিয়াখালি ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে দালাল মুক্ত রাখার উদ্যোগ নেয়ায় খোদ ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধেই অনিয়মের অভিযোগ আনে চিহ্নিত একটি দালাল চক্র। এলাকার লোকজনকে নিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করতে মাইকিং করলেও সচেতন এলাকাবাসী এক হয়ে তাদের অসাধু উদ্দেশ্যেকে বন্ধ করে মাইক আটক করে। পরে সচেতন এলাকাবাসীর শক্ত অবস্থানের কারণে মানববন্ধন করতে পারেনি সেই দালাল চক্রটি।
রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ৫ থেকে ৭ বছর আগে ভূমি অফিস থেকে অবসর নেয়া পিয়ন আব্দুস সামাদ ও তার সহযোগী গীরেন দীর্ঘদিন ধরে ওই ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা লোকজনের নিকট থেকে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নিত। শুধু তাই নয়, স্থানীয় হওয়ায় তারা ওই ভূমি অফিসের ভলিয়ম বই সহ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র কৌশলে অফিসের বাইরেও নিয়ে যেত। এসব অন্যায় অনিয়ম কর্মকাণ্ড গুলো জানতে পেরে বর্তমান ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম খন্দকার তাদেরকে বাধা দেয়ায় অবসরপ্রাপ্ত ওই পিয়ন আব্দুস সামাদ ক্ষিপ্ত হয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধে মানববন্ধনের মাইকিং ছেড়ে দেয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে বাদিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান সাথে সাথেই ওই দালাল চক্রের মানববন্ধনের প্রচার কাজে ব্যবহৃত মাইকিং বন্ধ করে দেন।
পরে বাঁদিয়াখালি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমেদ সরকার সহ স্থানীয় অসংখ্য সচেতন এলাকাবাসী ওই দালাল চক্রের মূল হোতা অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন আব্দুস সামাদ ও তার সহযোগী গিরেনের এই অপপ্রচার ও মিথ্যা মানববন্ধনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে দালালদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁদিয়াখালি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম খন্দকার বলেন, এই অফিসকে আমি দালাল মুক্ত করতে চেয়েছি। সে জন্য ওরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। আমি বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেব।
অপরদিকে অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন আব্দুস সামাদ ও তার সহযোগী গিরেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply