আজ ১ মার্চ জাতীয় বিমা দিবস। এ উপলক্ষ্যে এবারও বিভিন্ন আয়োজন হাতে নিয়েছে সরকার এবং এ খাতের উদ্যোক্তারা। ‘আমার জীবন আমার সম্পদ, বিমা করলে থাকবে নিরাপদ’ এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে এ বছর দিবসটি উদযাপন করা হবে।
জাতীয় বিমা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে বুধবার (১ মার্চ) সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজন করা হয়েছে দিবসটির মূল অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে দেশব্যাপী দিবসটির কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।
জাতীয় বিমা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এক বাণীতে বলেছেন, গ্রাহকের বিমা দাবি যথাসময়ে পরিশোধ, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতিসমূহ প্রতিপালন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ ও গ্রাহকবান্ধব সেবা প্রদানে এগিয়ে আসতে বিমা সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
আবদুল হামিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে স্বাধীন বাংলাদেশে বিমা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু ১৯৬০ সালের ১ মার্চ আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে যোগদানের মাধ্যমে বিমাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। এ দিনটি স্মরণে প্রতিবছর ১ মার্চ জাতীয় বিমা দিবস পালন বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পাশাপাশি বিমা শিল্পের উন্নয়নেও সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বাণীতে বলেছেন, বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে পরিণত করার ক্ষেত্রে বিমা খাতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’, যেখানে দেশের প্রতিটি মানুষ প্রযুক্তিগতভাবেও বিশ্ব পরিমন্ডলে নিজের দৃঢ় অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে। এ লক্ষ্যে উন্নত দেশের ন্যায় আমাদের দেশের জিডিপিতে বিমার অবদান বৃদ্ধি করতে সকল অংশীজনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির বহুল ব্যবহারের মাধ্যমে একটি টেকসই অর্থনীতি গড়ে তুলতে বিমা শিল্প বিশেষ অবদান রাখবে বলে আমি মনে করি।
উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালের ১ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পাকিস্তানের আলফা ইন্স্যুরেন্সে যোগদান করেছিলেন। ফলে দিনটিকে প্রতি বছর বিমা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। সরকারও এর অনুমোদন দিয়েছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply