সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন এক লেখিকা। নব্বইয়ের দশকের ধর্ষণের ঘটনায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছেন তিনি। তবে ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা মানহানির মামলা করেছেন। খবর আল জাজিরার।
বিতর্ক আর ট্রাম্প যেন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বে থাকার সময় বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত হয়েছেন তিনি। দায়িত্ব ছাড়ার পরও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না তাকে। এবার ধর্ষণের দায়ে আলোচনায় সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ৯০-এর দশকে তিনি এক মার্কিন লেখিকাকে ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন ৭৮ বছর বছর বয়সী মার্কিন লেখিকা ই জঁ ক্যারল। নিউইয়র্কের একটি স্টোরের ড্রেসিংরুমে ট্রাম্প তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
ক্যারল অভিযোগ করে বলেছেন, ২৭ বছর আগে নিউইয়র্কের একটি বিলাসবহুল ডিপার্টমেন্ট স্টোরের ড্রেসিং রুমে তার ওপর যৌন হামলা হয়েছিল। ক্যারলের অ্যাটর্নি রবার্টা কাপলান একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ট্রাম্পকে তার কৃতকর্মের জন্য দায়ী করার লক্ষ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার এই নতুন মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
ট্রাম্পের আইনজীবী আলিনা হাব্বা বলেছেন, নির্যাতনে শিকার ব্যক্তিরা সামনে এগিয়ে এলে তিনি তাদের সম্মান ও প্রশংসা করেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত এই আইনের উদ্দেশ্যকে অপব্যবহার করার জন্য মামলাটি দায়ের করা হয়েছে এবং এটা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের বৈধ বিশ্বাসযোগ্যতাকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে।
সীমাবদ্ধতা-সংক্রান্ত সংবিধি বা স্ট্যাটিউট অব লিমিটেশন অনুযায়ী, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো বিষয়ে অভিযোগ করা না হলে তার কার্যকারিতা হারিয়ে যায়। যৌন নিপীড়ন ঘটনার ক্ষেত্রে সেই সীমাবদ্ধতা দূর করতে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন আইন করা হয়েছে। এর ফলে ১৮ বছরের বেশি বয়সী কেউ অনেক আগের যৌন নিপীড়নের ঘটনায় মামলা করতে পারবেন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন ই জঁ ক্যারল। নতুন আইন ‘অ্যাডাল্ট সারভাইভার্স অ্যাক্ট’ বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) কার্যকর হওয়ার পর এই আইনে প্রথম মামলা হলো এটি
নতুন এই আইনটি এই রাজ্যের সাম্প্রতিক শিশু নির্যাতন আইনের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে। এতে অপ্রাপ্তবয়স্ক থাকার সময় নির্যাতনের শিকার হলেও, পরে তারা মামলা করতে পারেন।
নিউইয়র্কের শিশু নির্যাতন আইনটি ২০১৯ সাল থেকে কার্যকর হয়েছে। এতে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের অভিযোগ দায়ের করার জন্য দু’বছরের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।
মামলা করা এ লেখিকা সম্প্রতি এক বইয়ে লিখেছেন ট্রাম্প তাকে ধর্ষণ করেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে একে বানোয়াট বলে উল্লেখ করেছেন। শুধু তাই নয় পাল্টা মানহানির মামলাও করেছেন ট্রাম্প।
এদিকে অ্যাডাল্ট সারভাইভার্স অ্যাক্ট আইন কার্যকর হওয়ার পর অন্যরাও মামলা করার পরিকল্পনা করছেন। এর মধ্যে রয়েছেন নিউইয়র্ক-প্রেসবিটেরিয়ান এবং কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সঙ্গে সম্পর্কিত হাসপাতালের একজন প্রাক্তন গাইনোকোলজিস্ট রবার্ট হ্যাডেনের বিরুদ্ধে একটি ক্লাস অ্যাকশন মামলা, যার বিরুদ্ধে কয়েক ডজন রোগী যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply