মামুন মোল্যা, নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের কালিয়ায় বারোই পাড়া ব্রীজ নির্মাণ শ্রমিকের বকেয়া টাকা নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে ঢাকার শ্যামলী আদাবর এলাকার কংক্রিট এন্ড স্টীল টেকনোলজি কোম্পানি লিঃ ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।
বিগত এক বছরের লেনদেনে ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বকেয়া পড়ায় বিপাকে পড়েছে শ্রমিকেরা বলে জানান শ্রমিকদের সরদার লাল মিয়া। কোম্পানির জিএম ইমরান, পিএম লিটন ও ইঞ্জিনিয়ার মাধবসহ সাব ঠিকাদার জসিমের যোগসাজসে টাকা না দিয়ে তাদের মিথ্যা আশ্বাসে বিশ দিন মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে শ্রমিক সরদার লাল মিয়া ও তার শ্রমিকেরা। কালিয়ার পারের অফিসে টাকা চাইতে গেলে মারপিটের শিকারও হয়েছেন লাল মিয়া। দরীদ্র শ্রমিক সরদার লাল মিয়া দ্রুত তার পাওনা টাকা দাবি করেন।
সরেজমিনে বারোইপাড়া সেতুতে গেলে শ্রমিক সরদার লাল মিয়া বলেন, বিগত ১ বছর আগে সাব ঠিকাদার জসিমের সাথে মৌখিক চুক্তি অনুযায়ী আমরা কাজ শুরু করি। ১৫ দিন কাজ করার পর ওই ঠিকাদারের লেনদেন ভাল না হওয়ায় আমরা কাজ বন্ধ করে চলে যেতে চাইলে ওই কোম্পানি জিএম ইমরানসহ সংশ্লিষ্টরা দায়িত্ব নিয়ে আমাদের কাজ করতে বলেন। যার অডিও রেকর্ড সংরক্ষণে আছে। কিন্তু অবশেষে কোম্পানি ও আমাদের সাথে ছিনিমিনি খেলেছে বলে জানান। আমাদের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় এক মাস হতে চললেও কোম্পানি বিল না দেওয়ায় বাকিতে খাওয়া স্থানীয় দোকানীরা আমাদের টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। এখন আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি।
মারপিটের বিষয়ে কোম্পানির পিএম লিটনকে ফোন দিলে তিনি বাড়ীতে আছেন বলে জানান। তবে একটু পরে কথা বলবেন বলে আর যোগাযোগ করেননি।
কোম্পানি শ্রমিকদের দায়িত্ব নেওয়াসহ বকেয়া পাওনার বিষয়টি স্বীকার করে ইঞ্জিনিয়ার মাধব বলেন, লাল মিয়ার টাকা অফিস দিয়ে দেবে। তবে ঠিকাদার অফিস থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছে। অফিসে গেলে ঠিকাদারের সাথে হিসাব করে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ওই কোম্পানির জিএম ইমরানের সাথে কথা হলে বলেন, ঠিকাদারের সাথে বনিবনা না হওয়ায় আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। এ সময় খোরাকি বাবদ লালমিয়াকে এবং ঠিকাদার জসিমকে কাজের বিল বাবদ অনেক টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে তারা উভয়ে অফিসে আসলে হিসাব নিকাস শেষে বকেয়া দিয়ে দেওয়া হবে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply