নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বুধবার) সকাল ১০:০০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকল নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবীতে নন-এমপিও সংগঠনের মোর্চা “সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদ” এর উদ্যোগে শিক্ষকদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি ৪র্থ দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বিএনপি’র কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, প্রাথমিক অনুমতির নীতিমালার সকল শর্ত পূরণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি পায়, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন পর্যন্ত কেন এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, এমপিওভুক্ত ও ননএমপিওভুক্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই নিয়মনীতির উপর পাঠদান-পরীক্ষাসহ সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বেতন পায় আর ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন পায় না। এই বৈষম্য দূর করে অনতিবিলম্বে ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করা হোক।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি সভাপতি আবু সাঈদ চাঁদ নন-এমপিও শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে শিক্ষকরা তাদের বেতনের দাবিতে রাস্তায়, এটি জাতির জন্য লজ্জার। আমরা শিক্ষকদের রাস্তায় দেখতে চাই না। অবিলম্বে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণে আমি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার দৃষ্টি আকষর্ণ করছি।
কর্মসূচিতে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিবছর এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেয়া হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় গত চার বছর কোন আবেদন নেয়া হয়নি। ২০২৫ সালে যদি আবেদন না নেয়া হয় তাহলে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ দীর্ঘ ২০-২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে কেউ চাকরি করতে পারেনা।
তারা নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সামাজিক মর্যাদা ও সীমাহীন কষ্টের কথা চিন্তা করে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের এমপিও নীতিমালা ২০২১ বাতিল করে স্বীকৃতিই একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও’র নীতিমালা কার্যকর করে সকল নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, ভোকেশনাল, কৃষি ও ডিগ্রি কলেজ) একযোগে এমপিওভুক্ত করার দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বাজেটে ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। উক্ত টাকা দ্বারা অবিলম্বে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে হবে। নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন প্রদান রাষ্ট্রের একনম্বর অগ্রাধিকার হতে হবে। দেশে আন্দোলনরত যতগুলো পেশাজীবী সংগঠন যত দাবী করছে তার মধ্যে নন-এমপিও (বেতন বিহীন) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন দেয়া সবচেয়ে যৌক্তিক ও মানবিক দাবী। শিক্ষা মৌলিক অধিকার। শিক্ষকের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। শিক্ষায় বিনিয়োগ শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। শিক্ষকদের জীবনমান উন্নত না হলে দেশপ্রেমিক শিক্ষার্থী তথা আদর্শ নাগরিক গঠন করা সম্ভব নয়। আদর্শ নাগরিক ছাড়া দেশের স্বার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়। তারা আরো বলেন, দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।
সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মোঃ দবিরুল ইসলাম সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা প্রিন্সিপাল সেলিম মিঞা, প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ নাজমুছ সাহাদাৎ আজাদী, সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মনিমুল হক, যুগ্ম সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মোঃ ইমরান বিন সোলায়মান, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ সাজ্জাদ হোসেন, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মোঃ আফতাবুল আলম, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ বাকী বিল্লাহ, সমন্বয়ক প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর মোঃ এরশাদুল হক, সমন্বয়ক প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান বাবুল, সমন্বয়ক সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন বাবুল সহ আরো অনেকে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply