সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন

এসকে ট্রিমসের ব্যাংক হিসাব সচল করার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ছেলের ছাগল-কাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচনায় আসা বোর্ডের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের পারিবারিক মালিকাধীন এসকে ট্রিমসের ব্যাংক হিসাব সচল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, কোম্পানিটির ব্যাংক হিসাব জব্দ নিয়ে মেট্রোপলিটন দায়রা জজ আদালতের নির্দেশের ইস্যুতে গতকাল রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগ। এতে কোম্পানিটির ব্যাংক হিসাব সচল করার আদেশ দেওয়া হয়। আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত এসকে ট্রিমসের ব্যাংক হিসাব সচল থাকবে।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের নির্দেশে গত ২৫ জুন থেকে কোম্পানিটির সব ব্যাংক হিসাব বন্ধ করা হয়। এ কারণে রপ্তানিমুখী কারখানাটি বিদেশ থেকে কোনো কাঁচামালও আমদানি করতে পারছে না। ফলে কারখানায় বেশ কিছুদিন ধরে কোনো ধরনের কাজ নেই। কারখানা সচল রাখার মতো অর্থায়নেরও কোনো ব্যবস্থা নেই। এ অবস্থায় কারখানা বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে কোরবানির ঈদের আগে ১৫ লাখ টাকায় ছেলের ছাগল কিনতে চাওয়ার ঘটনায় আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের মালিকানাধীন কোম্পানি এস কে ট্রিমসের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। চলতি বছরের জুন মাসের ২৫ তারিখে ওয়ান ব্যাংকে থাকা এসকে ট্রিমসের ব্যাংক হিসাবটি জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তবে রপ্তানি, রাজস্ব, কর্মকর্তাদের বেতন দেয়াসহ নানা ইস্যুতে কোম্পানিটির অনুরোধে ১০ জুলাই ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ তুলে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক জব্দের নির্দেশ তুলে নেয়ার একদিন পরেই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সুপারিশের ভিত্তিতে মহানগর দায়রা জজ আদালত ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্দেশে কোম্পানির সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়।

কোম্পানিটির উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছে মতিউর রহমানের ভাই এম এ কাইয়ূম হাওলাদার ও মো. নুরুল হুদা, মতিউর রহমানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোম্পানি গ্লোবাল শুজ ও গ্লোবাল ম্যাক্স প্যাকেজিং। এর মধ্যে এম এ কাইয়ূম হাওলাদার কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন। কোম্পানিটির শেয়ারের বড় অংশই রয়েছে মতিউর রহমানের পরিবারের সদস্যদের হাতে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমেও শেয়ার ইস্যু করে। ওই সময় কোম্পানিটির শেয়ার কিনেছেন মতিউর রহমানের বোন হাওয়া নুর বেগম, প্রথম ঘরের ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণব ও মেয়ে ফারজানা রহমান ঈপ্সিতা, দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তার শিবলী, ভায়রা নাসার উদ্দিন, নিকটাত্মীয় রাশিদুজ্জামান, আতিকুর রহমানসহ আরও অনেকে।

মূলত নামে-বেনামে এস কে ট্রিমসের সিংহভাগ মালিকানায় রয়েছেন মতিউর রহমানের স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও নিকটাত্মীয়রা। এস কে ট্রিমস ছাড়াও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৫-২০টি কোম্পানির প্লেসমেন্ট বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মতিউর রহমান ও তাঁর সুবিধাভোগীরা।

গত ঈদুল আজহার সময় মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মুশফিকুর রহমান ১৫ লাখ টাকার ছাগল কিনতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। ছেলের বিলাসী জীবনযাপনের সূত্র ধরেই মতিউরের সম্পদের বিষয়টি আলোচনায় আসে। এরপরই বেরিয়ে আসে নামে-বেনামে মতিউর রহমান, তাঁর পরিবার ও নিকটাত্মীয়দের বিপুল সম্পদের হিসাব। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মতিউর রহমানের বিপুল সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। তারই অংশ হিসেবে আদালতের মাধ্যমে মতিউর রহমানের বেশ কিছু সম্পদ জব্দ করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS