রাওয়ালপিন্ডিতে তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নেমেই ভয়াবহ ব্যাটিং ধসে লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়েছিল বাংলাদেশ। মাত্র ২৬ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকেই লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। বিশ্বরেকর্ড গড়া জুটিতে বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন তারা। লিটনের সেঞ্চুরিতে শেষ বিকেলে লিডের স্বপ্নও দেখছিল টাইগাররা। কিন্তু লিটনের বিদায়ের পর বাংলাদেশ আর লিড নিতে পারেনি।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনে ২৬২ রানে অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের চেয়ে ১২ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
হাসান মাহমুদের সঙ্গে পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে বাংলাদেশকে লিডের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন লিটন। একই সঙ্গে ছুটছিলেন ব্যক্তিগত দেড়শ রানের দিকেও। কিন্তু দেড় শতক থেকে মাত্র ১২ রান দূরে থাকতে আগা সালমানের বলে লং অনে সাইম আইয়ুবের ক্যাচ হয়ে। লিটন ২২৮ বলে ১৩ চার ও ৪ ছয়ে ১৩৮ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরার পর বাংলাদেশের ইনিংস টিকেছে আর মাত্র ২ বল।
আজ বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামার পর খুররম শেহজাদ ও মীর হামজার তোপে পড়েন। দলের প্রথম ছয়জনের মধ্যে সাদমান ইসলাম বাদে বাকি পাঁচজনই এক অঙ্কের রান করে আউট হয়ে যান। মাত্র ২৬ রানে ছয় উইকেট হারানো বাংলাদেশ তখন লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে।
ঠিক এমন সময়ে লিটন-মিরাজের জুটি গড়ে ওঠে। সপ্তম উইকেট জুটিতে ১৬৫ রান যোগ করে বাংলাদেশকে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যায় এই জুটি। গড়ে বিশ্বরেকর্ড।
৩০ বা তার কম রানে ৬ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে এত রান করতে পারেনি আর কোনো দল। এর আগে ২০২১ সালে গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৮ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের এনক্রুমা বোনার ও জশুয়া ডি সিলভা ১০০ রানের জুটি গড়েছিলেন।
এদিন মিরাজ ১২৪ বলে ৭৮ রান করে আউট হয়ে যান মিরাজ। বল হাতে ৫ উইকেট শিকারের পর ব্যাট হাতে অর্ধশতক গড়ে বিরল রেকর্ডে নাম লেখান মিরাজ। সাকিব আল হাসানের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি খেলোয়াড় হিসেবে একই টেস্টে ইনিংসে পাঁচ উইকেট ও অর্ধশকের দেখা পেয়েছেন মিরাজ।
মিরাজের বিদায়ের পর বাংলাদেশকে টেনে নিতে থাকেন লিটন। দেখা পান ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরির। দলের রান ৫০ হওয়ার আগে প্রথম পাঁচের পর ব্যাটিংয়ে নেমে তিনটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন লিটন।
খুররম শেহজাদ ২১ ওভার বল করে ৯০ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট শিকার করেন। বাকি ৪ উইকেট সমানভাবে ভাগ করে নেন আগা সালমান ও মির হামজা।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply