বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:১১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
ফেনীতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি, বিপৎসীমার ওপরে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর পানি যুক্তরাজ্যে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে রাজকীয় সংবর্ধনা হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের পদ স্থগিত আমার কথা বলার স্বাধীনতা থাকতে হবে, তোমারও থাকতে হবে : মির্জা ফখরুল মাধবপুরে পুলিশের হাতে বিদেশি মদসহ ১ জন গ্রেফতার  গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য ‘সময় লাগবে’ : কাতার সিঙ্গাপুর থেকে ৫৩১ কোটি টাকায় এলএনজি কিনবে সরকার ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা হজ্জ ও ওমরাহ সেভিংস স্কিম: সঞ্চয়ে স্বপ্নপূরণ সনি-স্মার্ট’র শোরুম এখন মাদারীপুরে সাংবাদিককে যারা শত্রু ভাবে, তারা দেশের শত্রু : মোমিন মেহেদী

ঋণ দিতে পারবে না এস আলমের ৬ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪

বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ৬ ব্যাংকের ঋণ বিতরণে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ব্যাংকগুলো আর কোনো গ্রাহককে ঋণ সুবিধা দিতে পারবে না।

ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক।

ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে এই নিষেধাজ্ঞার বিসয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এসব ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপ নামে-বেনামে হাজার-হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়ে গেছে। আর ওই টাকার বড় অংশই বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব ব্যাংক নতুন করে ঋণ বিতরণ করতে পারবে না। আগের ঋণ নবায়নও করতে পারবে না। তবে কৃষি, চলতি মূলধন, এসএমই, আমানতের বিপরীতে ঋণ ও প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত দিতে পারবে। পাঁচ কোটি টাকার বেশি হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে।

গণঅভ্যুত্থানে বিদায় নেওয়া আওয়ামীলীগের গত ১৫ বছরের শাসনামলে সরকারের প্রশ্রয়ে  এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ (এস আলম) ব্যাংকিং খাতে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী এক ব্যক্তিতে পরিণত হন। খোদ ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগসাজশ ও সরকারের বিভিন্ন এজেন্সিকে ব্যবহার করে ব্যাংক দখল, একাধিক ব্যাংকের লাইসেন্স নেওয়া, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে ঋণের আড়ালে হাজার হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নেন তিনি। এমন বেপরোয়া লুটতরাজে ব্যাংকগুলো রুগ্ন হয়ে পড়ে। দেখা দেয় তীব্র তারল্য সঙ্কট। তাদের চলতি হিসাবও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। আইন অনুসারে, এমন অবস্থায় কোনো ব্যাংকের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু আইনকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ করে দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS