শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণের রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৬ জুন, ২০২৪

ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ কমাতে নানা সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে কাজ হচ্ছে না কিছুতেই। অর্থনীতির বিষফোঁড়া খেলাপি ঋণ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশের ব্যাংকখাতে খেলাপি ঋণ সব রেকর্ড ভেঙেছে। গত মার্চে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ বেড়ে ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে, যা তিন মাস আগেও ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা।

জানুয়ারি-মার্চ সময়ে দেশের ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা। আর এক বছরে (মার্চ ২০২৩ থেকে মার্চ ২০২৪) খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৫০ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ব্যাংকের নাজুক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে খেলাপি ঋণের কারণে। ব্যাংকখাতে সুশাসনে ব্যাংকিং কমিশন গঠনের মত তাদের। তবে বসে নেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকও। সম্প্রতি এবার খেলাপি ঋণ কমাতে ঋণ গ্রহীতাদের যোগ্যতা যাচাইয়ে প্রাইভেট ক্রেডিট ব্যুরো (পিসিবি) নামে নতুন সংস্থা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক ও গ্রাহকের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সংস্থাটি গ্রাহকের সম্পদ ও যোগ্যতা নির্ধারণ করে রেটিং দেবে। যার ভিত্তিতেই গ্রাহক ঋণ পাবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যমতে, ২০২৪ সালের মার্চ প্রান্তিক শেষে ব্যাংকখাতে মোট বিতরণ (আউটস্ট্যান্ডিং) করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।

তার আগের প্রান্তিকে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৯ শতাংশ। সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে ব্যাংকখাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৩৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা। গত বছরের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৫০ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা।

খেলাপি ঋণ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, গত ১০ বছরে খেলাপি ঋণ ৪২ হাজার ৭২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩ কোটি টাকা হয়েছে। ব্যাংকখাতে সুশাসনে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে স্বাধীনতা না থাকায় এ নেতিবাচক অবস্থা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন গোষ্ঠীর যোগসাজশে যে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা তৈরি হয়েছে, তার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতায় তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে অনেক ব্যাংকে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS