দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে খুলনার তেরখাদা, দিঘলিয়া ও ফুলতলা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে ১৩৮টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৯৫টিকে গুরুত্বপূর্ণ ও ৪৩টিকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। মোট ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৬৯ শতাংশ গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ কেন্দ্রের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মোট ১৩৮টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে তেরখাদা উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ৪৩টি, দিঘলিয়ায় ৫২টি ও ফুলতলায় ৪৩টি।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিনটি উপজেলায় তাদের আওতাধীন এলাকায় ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১১২টি। এর মধ্যে ৬৯টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিনটি উপজেলার মধ্যে দিঘলিয়া ও ফুলতলা উপজেলার ২৬টি কেন্দ্র তাদের আওতাধীন এলাকায়। তারা সবগুলো কেন্দ্রকেই গুরুত্বপূর্ণ চিহ্নিত করেছেন।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করে এই তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা, কোনো প্রার্থীর বাড়ির কাছে কেন্দ্র কিনা, প্রভাব বিস্তারের আশংকা এবং যাতায়াত ব্যবস্থা প্রভৃতি।
পুলিশ জানায়, প্রতিটি সাধারণ ভোট কেন্দ্রে তিনজন পুলিশ ও ১৭ জন আনসার দায়িত্ব পালন করবে। আর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে ৪ জন পুলিশ ও ১৭ জন করে আনসার থাকবে। এছাড়া পুলিশ ও র্যাবের টহল টিম দায়িত্ব পালন করবে।
খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান জানান, সাধারণ কেন্দ্রের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ও নজরদারি থাকবে। তবে সাধারণ কেন্দ্রেও নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি থাকবে না। এখন পর্যন্ত ৩ উপজেলায় নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা এ টি এম শামীম মাহমুদ জানান, তেরখাদা উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী দুইজন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন। মোট ভোটার ১ লাখ ৩ হাজার ৭৬৮ জন।
দিঘলিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৭ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন। মোট ভোটার ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৪৮ জন।
ফুলতলা উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী দুইজন। মোট ভোটার ১ লাখ ১৫ হাজার ১৮৭ জন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply