মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন

আলমডাঙ্গার চিৎলায় সৎ পিতা কর্তৃক কন্যা সন্তানের ধর্ষণের অভিযোগ

মোঃ আব্দুল্লাহ হক চুয়াডাঙ্গা
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়ন সৎ পিতা কর্তৃক কন্যা সন্তান ধর্ষণ ও তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বার অভিযোগ উঠেছে।

গত ২২ দিন আগে চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার নান্দবার গ্রামের সজীবের সঙ্গে একই উপজেলার এক কিশোরীর (১৫) পারিবারিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর থেকে কিশোরী নববধুর শারীরিক পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হয় স্বামী সজিবের। স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর স্বামী নিশ্চিত হন তার কিশোরী নববধু চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপরই বেরিয়ে আসতে শুরু করে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কিশোরী নববধু ও তার সৎ বাবা আলতাফ হোসেনকে (৪৫) পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী নববধু জানিয়েছে, তার সৎ বাবা তাকে বিভিন্ন সময় জোরপুর্বক ধর্ষণ করেছেন। এর ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।

অপরদিকে সৎ বাবা আলতাফ হোসেনও বিষয়টি পুলিশের নিকট স্বীকার করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গনি মিয়া।

এ ঘটনায় এলাকায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত পিতাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।

জানা গেছে, বিয়ের পর থেকে কিশোরী নববধুর শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন স্বামী সজিব। বিষয়টি সন্দেহজনক হলে স্ত্রীকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর জানতে পারেন স্ত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

এরপরই স্বামী সজীবের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। বাড়ি এসে পরিবারকে জানায় সজিব। দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা শেষে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত হয়। তবে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় কাজী তালাক কার্যক্রম করতে অস্বীকৃতি জানায়।

অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানাধীন মুন্সিগঞ্জ গ্রামে। সে গত ১৭ বছর আলমডাঙ্গার চিৎলা গ্রামের দুই কন্যা সন্তানের মাকে বিয়ের পর থেকে ঘর জামায় হিসেবে আছেন। আর সেই সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ একরামুল হোসাইন বলেন চিৎলা গ্রামের আলতাফ হোসেন এর মেয়ে আলেয়া খাতুনের কয়েকমাস আগে বিবাহ হয় নান্দাবর গ্রামে বিয়ের কয়েকদিনের মাথায় আলেয়া খাতুনের বমি বমি ভাব অন্তঃসত্ত্বার সম্ভবনা লক্ষ করা যায় পরবর্তীতে ডাক্তারি পরীক্ষা পর চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ধরা পরে , অন্তঃসত্ত্ব আলেয়া খাতুন পিতার সাথে ধর্ষণের কথা প্রকাশ করেন ও স্থানীয় এলাকাবাসী ও আলেয়া খাতুনের বক্তব্যর ভিত্তিতে আলেয় খাতুনের পিতা আলতাফ হোসেন কে গ্রেফতার কার হয়।

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন, কিশোরি মেয়ে ও তার সৎ বাবাকে আমরা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। মেয়েটি জানিয়েছেন তার সৎ বাবা তাকে বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছেন। সৎ বাবাও ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন আমাদের নিকট।

তিনি আরও বলেন, গত ২২ দিন আগে কিশোরী নববধুর বিবাহ হয়। এরপর থেকে স্বামী তার স্ত্রীর শারীরিক পরিবর্তনের বিষয়টি লক্ষ্য করলে চিকিৎসকের নিকট পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা বলে নিশ্চিত হন। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS