শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
ময়মনসিংহে বিএমএসএ বিভাগের নবগঠিত কমিটির অভিষেক-২০২৫ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিল সরকার নিরাপত্তা সতর্কতা: বাংলাদেশে থাকা নাগরিকদের জন্য মার্কিন দূতাবাসের নির্দেশনা ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হবে দুপুরে, রয়েছে বিশেষ নির্দেশনা শহীদ ওসমান হাদীর চেতনা ধারণ করে আধিপত্যবাদভুক্ত দেশ গঠন করতে হবে : জাতীয় ঐক্য জোট নেতৃবৃন্দ শরিফ ওসমান হাদির মাগফিরাত কামনায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে ছাত্রশিবিরের দোয়া মাহফিল মাধবপুর, ডেভিল হান্ট, ফেজ-২ অভিযানে ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেফতার  প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের টেলিফোনে কথা রূপগঞ্জে পুলিশের অভিযানে দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী নাজমুল হাসান টিপু গ্রেফতার বিমান চলাচল রুটে ড্রোন উড়াতে বেবিচকের নিষেধাজ্ঞা

ব্যাংক খাত সংস্কারে এমডিদের কঠোর নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ২৩৭ Time View

দেশের ব্যাংক খাতকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে বড় সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে ঋণ খেলাপিদের ধরতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার জালে আটকে পড়া অর্থ আদায়ে অভিজ্ঞ আইনজীবী নিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এমডিদের। একই সঙ্গে, দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্রলিং পেগ বাস্তবায়ন, কারেন্সি সোয়াপের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে ধার দেওয়া, প্রমোট কারেক্টিভ অ্যাকশন (পিসিএ) বাস্তবায়নে ব্যাংকগুলোকে প্রস্তুতি নিতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ব্যাংকার্স সভায় ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের এসব নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। সভায় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নরসহ বিভিন্ন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।

সভা শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, গত ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলোর সংস্কারের জন্য আমরা প্রমোট কারেক্টিভ অ্যাকশন (পিসিএ) ঘোষণা করেছি। সংস্কারের ক্ষেত্রে কীভাবে ব্যাংকগুলোর অবস্থান নির্ণয় করা হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট বর্ণনা দেওয়া আছে।

মুখপাত্র বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর প্রান্তিকের হিসাব ধরে আগামী বছরের মার্চ নাগাদ ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুরু হবে। ব্যাংকগুলোর এমডিদের ব্যক্তিগতভাবে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার প্রতি দৃষ্টি দিতে বলা হয়েছে। যেসব ব্যাংকের অবস্থা খুবই দুর্বল তাদের ঋণ বিতরণ, আমানত সংগ্রহ থেকে শুরু করে কার্যক্রমের উপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। কোনো কোনো ব্যাংক একীভূত (মার্জার) করেও দেওয়া হতে পারে। এ সময়ের মধ্যে ব্যাংকগুলো যদি তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতে পারে তাহলে কোনো ব্যাংকের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা আসবে না।

তিনি বলেন, সম্প্রতি সংকোচনমূলক মুদ্রাণীতি ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে বলেছি আমাদের টার্গেট বাস্তয়ন পর্যন্ত এ ধরনের মুদ্রাণীতি অব্যাহত থাকবে। এতে ব্যাংকগুলোর আর্থিক সংকট দেখা দিতে পারে। আগে থেকেই তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যাতে লিকুইডিটি ম্যানেজমেন্ট ঠিক মতো করতে পারে। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যাংকের সুশাসন ফেরাতে।

মেজবাউল হক আরও বলেন, ব্যাংকের সুশাসন ফেরাতে আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। কমিটি একটি অ্যাকশন প্ল্যান করছে। সেখানে খেলাপি ঋণ কমানো এবং সুশাসন নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে আসবো। মুদ্রাণীতি ঘোষণা করার সময় ক্রলিং পেগ চালুর বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছিলাম। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেটি বাস্তবায়ন করা হবে। ব্যাংকগুলোকে ক্রলিং পেগ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। তাছাড়া মামলা কমাতে এডিআরের ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে হয়তো মামলার সংখ্যা কমে আসবে। এটাও তাদের সতর্ক করা হয়েছে যাতে কোনো গ্রাহক এই এডিআরের সুবিধা নিয়ে শুধু শুধু সময় ক্ষেপণ না করে।

সভা শেষে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, আজকের সভায় পিসিএ, ক্রলিং পেগ, মার্জারসহ নানান বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। দুর্বল ব্যাংকগুলো যাতে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে মার্জ করে ভালো কিছু হয়, সেটা চিন্তা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গভর্নর বলেছেন পলিটিক্যালি যাই হোক না কেন তিনি ব্যাংক খাতে সুশাসন ফেরাতে কোনো আপস করবেন না। অর্থাৎ আগামীতে ব্যাংকিং সেক্টর ঘুরে দাঁড়াবে।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যেই ফ্রেমওয়ার্ক দিয়েছে সে অনুযায়ী ব্যাংকিং পরিচালনা হবে। ব্যাংকের ঋণ খেলাপিদের ধরতে কোনো রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করা হবে না। ব্যাংকে সুশাসন ফেরাতে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সব কিছুই নিতে গভর্নর নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলো কাজ করতে শুরু করেছে। এতে আমাদের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। ডলার সংকটও অনেকটা কেটে এসেছে। তবে ডলারের কিছুটা সংকট রয়েছে। সেটিও দ্রুত সময়ের মধ্যে কেটে যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS