জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল সরকারি ছাঈদ আলতাফুন্নেছা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক জান্নাতুল ফেরদৌস রনির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তাঁকে লাঞ্ছিতকারী ছাত্রলীগের সেই অভিযুক্ত নেতারা।
আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যস্থতায় আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে এক সমঝোতা বৈঠকে ক্ষমা চান তাঁরা।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ মোল্লা, ক্ষেতলাল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রলীগের আহŸায়ক মেহেদী আশিক রাজু ও যুগ্ম আহŸায়ক জুল আরশ শুভ সোমবার দুপুরে কলেজে আসেন। তাঁরা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিনাত রেহেনার কক্ষে বসে। এসময় ভুক্তভোগী শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস রনি ও অন্য শিক্ষকেরা অধ্যক্ষের কক্ষে আসেন। দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার পর অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা নিজের ভূল স্বীকার করে শিক্ষকের হাত ধরে ক্ষমা চান। এঘটনার আর পূর্নরাবৃত্তি ঘটবে না বলে আওয়ামী লীগের নেতারা কলেজের শিক্ষকদের আশ্বস্ত করেন।
ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস রনি জাগো নিউজ কে বলেন, ছাত্রলীগের নেতারা হাত ধরে ক্ষমা চেয়েছেন। আমি তাঁদের ক্ষমা করে দিয়েছি। মামলাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
গত বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) ক্ষেতলাল উপজেলা ছাত্রলীগের আহŸায়ক মেহেদী আশিক রাজু ও যুগ্ম আহŸায়ক জুল আরশ শুভর বিরুদ্ধে দলবল নিয়ে ক্ষেতলাল সরকারি সাঈদ আলতাফুনেচ্ছা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক জান্নাতুল ফেরদৌস রনিকে (৩২) বেধড়ক মারপিট করার অভিযোগে থানায় মামলা হয়। ওইদিন দুপুর আড়াইটায় কলেজ সড়কের মৎস্য খামারের সামনে তাঁকে মারধর করা হয় বলে জানা যায়। এঘটনার প্রতিবাদে বিকেল সাড়ে তিনটায় ওই কলেজের শিক্ষকেরা ক্ষেতলাল থানার সামনে মানববন্ধন করেন। এরপর
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেন মারধরের শিকার ওই শিক্ষক। এসময় কলেজের অন্য শিক্ষকেরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। মানবন্ধন থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় আসামীদের দ্রæত গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচার না হলে রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করেন।
সোমবার সমঝোতা হওয়ায় ক্লাস বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়।
মঙ্গলবার থেকে নিয়মিত ক্লাস হবে।
এবিষয়ে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ মোল্লা বলেন, রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কিছু সমস্যা হয়েছিল। এ নিয়ে শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ ছিল। আমি দুপক্ষকে নিয়ে বসে সমঝোতা করেছি। ছাত্রলীগের আহবায়ক মেহেদী আশিক রাজু ও যুগ্ম আহবায়ক জুল আরশ শুভ ওই শিক্ষকের নিকট ক্ষমা চেয়েছে। তিনি ক্ষমাও করে দিয়েছেন। আর অতিশীঘ্রই তিনি মামলা প্রত্যাহার করবেন বলে কথা দিয়েছেন।
সরকারি ছাঈদ আলতাফুন্নেছা কলেজের অধ্যক্ষ জিনাত রেহানা বলেন, তারা ভুল করেছিল। আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে আমরা শিক্ষক হিসেবে তাদের ছাত্র মনে করে ক্ষমা করে দিয়েছি। আমরা ক্লাস বর্জন করেছিলাম সমঝোতা হওয়ায় ক্লাস বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি। মঙ্গলবার থেকে নিয়মিত ক্লাস হবে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply