নিজস্ব প্রতিবেদক: পাবনায় ভরা মৌসুমেও কমছে না আলু, পেঁয়াজসহ কোন সবজির দাম। এছাড়াও বেড়েছে চাল, ডিম ও মুরগির দাম।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর বাজারসহ বেশিরভাগ বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি আলু জাতভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও কাঁচামরিচের কেজি ৬০, বাঁধাকপি আবার দাম বেড়ে ৫০, টমাটো ৪০ থেকে ৫০, ছিম ৫০, দেশি আদা ২৪০, রসুন মানভেদে ২৮০ থেকে ৩০০, শুকনো মরিচ ৫০০ এবং গাজরের কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্থানীয় হাট-বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ কম থাকায় আলু, পেঁয়াজসহ অন্যান্য সবজির দাম বেশি। তবে মাঝে মাঝে সরবরাহ বাড়ায় কোন কোন দিন দাম কিছুটা কমে আসে, সরবরাহ কমলে দাম বাড়ে। তবে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এবারই রবি মৌসুমে সবজির দাম তুলনামূলক অনেক চড়া।
এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে অস্থির চালের বাজার। দফায় দফায় বাড়ছে পণ্যটির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিআর-২৮ চালের দাম বেড়ে ৫৪/৫৫ থেকে ৫৮/৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও রঞ্জিত ও স্বর্ণা চাল ৪৮/৫০ থেকে বেড়ে ৫২/৫৩, কাটারিভোগ ৬০/৬২ থেকে বেড়ে ৬৮/৭০ এবং মিনিকেট চাল ৬৪/৬৫ থেকে বেড়ে ৬৬/৬৮ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
এই প্রতিনিধির কথা হয় কয়েকজন চাল ব্যবসায়ীর সাথে, তারা বলছেন, গত এক সপ্তাহ ধরেই চালের বাজার অস্থির দফায় দফায় চালের দাম বাড়ানো হচ্ছে। বিশেষ করে কাটারিভোগ চালের কেজিতে ৮ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, মিল ও চাতাল মালিকরা পাইকারিতেই চালের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করে তুলছেন। চাতাল মালিকরা বলছেন, গত কয়েক দিনের ব্যবধানে ধানের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে।
এদিকে দু’দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ফার্মের ডিমের দাম। ৪২ টাকা হালির ডিমে দু’টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে ৪৪ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়াও ককরেল মুরগীর দাম বেড়ে ২৯০ এবং ব্রয়লার মুরগী বর্তমানে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
অপরদিকে সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০, আটা প্রতি প্যাকেট ৫৫, ময়দা ৬৫, মসুরের ডাল মানভেদে ১০০/১৩০, মুগের ডাল ১৪০, খেসারি ডাল ৮০, বুটের ডাল ৯০, চিনির কেজি ১৩০, লবণ প্রতি প্যাকেট ৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply