মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন

চুয়াডাঙ্গার ঈগল প্রতীকের কর্মী ও তার স্ত্রীর ওপরে হামলা এবং নগদ টাকা-স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়ায় ঈগল প্রতীকের কর্মী ইমান আলী ও তার স্ত্রী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য কাজল রেখার ওপরে হামলা এবং নগদ ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ইমান আলীর স্ত্রী কাজল রেখা।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগে আসামি করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গার মনিরামপুর এলাকার ইউনুসের ছেলে মিজান (৪০), হামিদুলের ছেলে পিয়াস (৩৫), ফারুকের ছেলে সাব্বির (৩০), সনুর ছেলে বাবুল আক্তার (৪৫), পুটের ছেলে টুটুল (২৮) ও বাবলুর ছেলে শুভকে (৩০)।

থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইমান আলী ও তার স্ত্রী কাজল রেখা সদ্য অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার ঈগল প্রতীকের কর্মী হিসেবে কাজ করেছিলেন। ভোটের আগ থেকে একই এলাকার মিজান, পিয়াস, সাব্বির, বাবুল আক্তার, টুটুল ও শুভ তাদের হুমকি-ধমকি দিত। নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হলে ওই আসামিরা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এরই মধ্যে গতকাল কাজল রেখা ও তার স্বামী স্থানীয় আলুকদিয়া বাজারে নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের (টিভি, ফ্রিজ ও ছিট কাপড়ের দোকান) মালামাল বিক্রি শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হিসাব-নিকাশ করছিলেন। এসময় দলবদ্ধভাবে এসে মিজান লাঠি ও লোহার রড দিয়ে ইমান আলীর ওপর হামলা শুরু করে। মিজানের লোহার রডের আঘাতে ইমান আলী রক্তাক্ত জখম হন। পিয়াস ডান চোখ ও সাব্বির বাম চোখে ঘুসি মেরে মারাত্মক জখম করেন। ইমন আলীর প্রাণ বাঁচাতে প্রতিরোধের চেষ্টা করতে গেলে বাবুল আক্তার লোহার রড দিয়ে কাজল রেখার বাম পায়ে আঘাত করে। এসময় টুটুল কাজল রেখার চুলের মুঠি ও শুভ পোশাক ধরে টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী করে।

পরে মিজান ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ক্যাশে থাকা ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও সাব্বির কাজল রেখার গলার ১ ভরি ওজনের সোনার চেন ছিনিয়ে নেয়। এসময় তাদের চিৎকারে পার্শ্ববর্তী এলাকার সুবারেক, আউয়াল ও মামুনসহ কয়েকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ করেন কাজল রেখা। মামলার এজাহারের সূত্র ধরে কাজল রেখা বলেন, ‘এ ঘটনায় কোনো মামলা করলে তারা খুন করবে বলে হুমকি দিয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছি, থানায় একটি অভিযোগও হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS