সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৮ অপরাহ্ন

জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৪

আব্দুল্লাহ হেল বাকী
  • আপডেট : সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার শিকটা গ্রামে সৈয়দ আলী আকন্দ (৮০) নামের এক বৃদ্ধকে হত্যার ঘটনায় মামলায় গ্রাম পুলিশসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাট পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই কথা জানান পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নূরে আলম।

গ্রেপ্তাররা হলেন- কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের শিকটা গ্রামের আকামুদ্দিনের ছেলে হত্যাকাÐের মূল পরিকল্পনাকারী হারুনুর রশিদ (৪০), একই গ্রামের আবু তালেব ফকিরের ছেলে সুজন মিয়া (২৩), মোবারক আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫), মোহাম্মদ আলীর ছেলে নাজির হোসেন (৩৫)।

এ ঘটনায় হত্যাকাÐে ব্যবহার করা নগদ অর্থ, ছুরি, দলিলের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। আসামিরা দুই লাখ টাকা ওই ঘর থেকে নিয়ে যান। সেই অর্থের ৬২ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকা আসামিরা খরচ করেছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম আরও বলেন, গত ১ ডিসেম্বর সকালে কালাই শিকটা গ্রামের সৈয়দ আলীর নিজ ঘরের মধ্যে তার গলা কাটা লাশ পরে আছে বলে সংবাদ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। পরে আমাদের তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর দিবাগত গভীর রাতে অজ্ঞাত আসামিরা এ হত্যাকাÐ ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে কালাই থানায় মামলা হয়।

এসপি বলেন, থানা পুলিশ এবং জয়পুরহাট ডিবি টিমসহ মামলার তদন্ত কার্যক্রম এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা শুরু করেন। গোপন সূত্র ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জানা যায়, সৈয়দ আলী হত্যার ঘটনার সঙ্গে শিকটা গ্রামের হারুনুর রশিদ জড়িত আছে। তাকে গ্রেপ্তার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সুজন মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান, নাজির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আসামিরা পুনট বাজারে নাজির হোসেনের দোকানে পরিকল্পনা করে সৈয়দ আলী আকন্দের কাছে থাকা টাকা চুরি করবে এবং চুরির টাকা আসামি নাজিরকে দিলে সে ব্যবসা করে তাদের লাভ দিবে। সেই পরিকল্পনায় তারা ধারালো ছুরিসহ ওই বাড়িতে যায়। বাড়ির ভিতর থেকে গেট লাগানো থাকায় হারুন গেটের পাশে কাঁঠাল গাছ বেয়ে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে গেট খুলে দিলে সুজন, ওয়াজেদুল বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে। তারা দেখতে পায়, ঘরের মেইন গেট ও ঘরের দরজা খোলা এবং লাইট জ্বালানো। তখন তারা সৈয়দ আলীর ঘরে প্রবেশ করে দেখে তিনি ঘুমিয়ে আছে। তারা লাইটের সুইচ বন্ধ করার শব্দে সৈয়দ আলীর ঘুম ভেঙে যায়। এতে সৈয়দ আলী চিৎকার করার চেষ্টা করলে আসামিরা সেখানে থাকা গামছা দিয়ে তার মুখ বেঁধে ফেলে। পরে দুই পা চেপে ধরে। হারুনের কাছে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ঘরের বাক্সের লক ভেঙে দুই লাখ টাকা এবং একটি প্লাস্টিকের বাজার করা ব্যাগের ভেতর থাকা দলিলসহ ব্যাগ নিয়ে নেয়। ওই সময় ভিকটিম সৈয়দ আলী চিৎকার করার চেষ্টা করলে সুজন মিয়া ছুরি দিয়ে সৈয়দ আলীর গলার কণ্ঠ নালীর নিচে আঘাত করে, পরে কণ্ঠ নালী কেটে যায়। পরে ছুরি দিয়ে গলার বাম পাশে আঘাত করলে সৈয়দ আলী অজ্ঞান হয়ে পরে। তখন টাকা ও দলিলের ব্যাগসহ তারা দ্রæত পালিয়ে যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS