বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে জমা দেয়া আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকালে যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়ন বাতিল করেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, ‘নানা ধরনের ত্রুটির কারণে তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।’
মনোনয়নপত্র বাতিল হবার পর হিরো আলম বলেন, ‘উকিল ভুল করেছেন। তবে উকিল ভুল করা মানে আমি ভুল করেছি। হলফনামায় স্বাক্ষর করিনি। তারা চাইলেই এখানে আমার স্বাক্ষর নিতে পারতেন। বাতিল করেছে করুক।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ আমি ভোটের মাঠে থাকব। আবারও আমার প্রার্থিতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব। নির্বাচন কমিশনে আপিল করব। ওখানে না হলেও হাইকোর্টে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরিয়ে আনব। আমার ভোট আছে। অবশ্যই ভোটের মাঠে থাকব।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে এক রাতের ব্যবধানে দল পাল্টে বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেন আশরাফুল হোসেন আলম।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের কাছে আশরাফুল হোসেন আলমের পক্ষে তার ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ মনোনয়নপত্রটি জমা দেন। একদিন আগেই, বুধবার এই আসনে লড়তে সুপ্রিম পার্টি থেকে মনোনয়ন তুলেছিলেন হিরো আলম।
সেদিন হিরো আলমের পক্ষে মনোনয়ন জমা দিতে আসা ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান জানান, এই আসনে বহু আগেই একজনকে মনোনয়ন দিয়ে রেখেছিল সুপ্রিম পার্টি। বিষয়টি তারা ভুলে গিয়েছিলেন। একারণেই তড়িঘড়ি করে বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন আশরাফুল আলম। একতারার পর এবার নির্বাচনে ডাব প্রতীকে লড়বেন তিনি।
সুজন রহমান আরও বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করলে এক পারসেন্ট ভোটারের স্বাক্ষর নিয়ে বিভিন্নভাবে ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ কারণেই কোনো একটি দলের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তিনি (হিরো আলম)।’
গত ফেব্রুয়ারি মাসে বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন হিরো আলম। পরে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনেও অংশ নিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন হিরো আলম। এসব নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে যাবেন না বলে মন্তব্য করেছিলেন এই ইউটিউবার।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS