দেশে দিন দিন ইসলামি ব্যাংকিং কার্যক্রমের বিকাশ ঘটছে। ব্যাংক খাতের মোট আমানতের ২৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ রয়েছে ইসলামি ব্যাংকগুলোর কাছে। এছাড়া মোট বিতরণ করা ঋণের ২৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ দিয়েছে তারা। প্রবাসী আয়ের ৪৯ শতাংশও আসে ইসলামি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ মুসলিমপ্রধান দেশ। তাই এখানে ইসলামি ব্যাংকের চাহিদা বেশি। এ জন্য অনেকেই এই ধারায় যুক্ত হচ্ছে। এছাড়া ইসলামি ব্যাংকগুলোকে কিছুটা ছাড় দেয়া হয়। যেমন ইসলামি ব্যাংক হলে সিআরআর ও এসএলআরে সাড়ে ৭ শতাংশ ছাড় পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ শেষে দেশের ব্যাংক খাতে মোট আমানত ছিল ১৪ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ইসলামি ব্যাংকগুলোয় রয়েছে ৩ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ আমানতের ২৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ ইসলামি ব্যাংকগুলো পেয়েছে। এর আগের বছরের (২০২০) ডিসেম্বরে ব্যাংক খাতের আমানতে ইসলামি ব্যাংকগুলোর হিস্যা ছিল ২৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের ঋণের পরিমাণ ছিল ১২ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ইসলামি ব্যাংকগুলোর অংশ ছিল ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ২৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। তথ্যমতে এক বছরের ব্যবধানে ইসলামিক ধারার ব্যাংকের ঋণ বেড়েছে ৫৯ হাজার কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশে এখন প্রবাসী আয়ের ৪৯ দশমিক ১৮ শতাংশ আসে ইসলামি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। সাধারণ ব্যাংকের চেয়ে ইসলামি ব্যাংকগুলোর ব্যবসা দ্রুত বড় হচ্ছে। এ নিয়ে ইসলামি ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা বলেন, ধর্মীয় বিশ্বাস থেকেই মূলত গ্রাহকেরা ইসলামি ব্যাংকে আসেন। তারা অন্য ব্যাংকে গেলে প্রশ্ন করেন, সুদ কত দেবেন? আর ইসলামি ব্যাংকে এলে বলেন, সুদ যেন হিসাব না করা হয়। টাকাটা যেন বৈধ ব্যবসায়ে যায়, সেটাও চান অনেকে। আবার জমা টাকার বিপরীতে মুনাফা নেবেন না, এমন গ্রাহকও ইসলামি ব্যাংকে আসেন।
বর্তমানে দেশে মোট ১০ হাজার ৯৩৭টি ব্যাংক শাখার মধ্যে দুই হাজার ৮০টি ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর। ইসলামি ব্যাংকগুলো শাখা কার্যক্রমের পাশাপাশি এজেন্ট ব্যাংকিং ও উপশাখার মাধ্যমেও সেবা ছড়িয়ে দিচ্ছে। এটিএম ও সিআরএমের মাধ্যমে টাকা জমা এবং উত্তোলনের সুবিধা তো আছেই।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply