পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ প্রথম সারির খাবারের নামের তালিকায় রয়েছে দুধের নাম। খাদ্যের প্রায় ৬টি উপাদানই এই খাবারে বিদ্যমান থাকায় শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত সবারই প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করা উচিত।
দুধ ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এছাড়াও এতে রয়েছে পটাশিয়াম, জিংক, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, চর্বি, ওমেগা ৩ ও ৬, ভিটামিন বি ১২, খনিজ, ফসফরাস, রিবোফ্লভিন ইত্যাদি।
অনেকেই দুধ সহজে হজম করতে পারেন না। তাই অনেকে গরম দুধের পরিবর্তে ঠান্ডা দুধ খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু ঠান্ডা না গরম কীভাবে দুধ খেলে আপনি বেশি উপকার পাবেন তা কি জানেন?
পুষ্টিবিদদের মতে, ঠান্ডা না গরম কোন ধরনের দুধে শরীর বেশি পুষ্টি পাবে তা নির্ভর করে আপনি দুধ কেন খাচ্ছেন তার ওপর। যদি আপনার অনিদ্রার সমস্যা থাকে তবে গরম দুধেই আপনি বেশি উপকার পাবেন। কেননা গরম দুধে অ্যামাইনো অ্যাসিড বেশি সক্রিয় থাকে, যা দ্রুত ঘুম আনতে সাহায্য করে।
এছাড়া সর্দি, কাশি, জ্বর বা পিরিয়ডের সময় গরম দুধ শরীরে বেশি কার্যকর হয়ে ওঠে। তার মানে এই নয় ঠান্ডা দুধের কোনো উপকারিতা নেই।
ডায়েটেশিয়ানরা বলছেন, যাদের বদহজমের সমস্যা রয়েছে তারা গরম দুধের পরিবর্তে ঠান্ডা দুধেই বেশি উপকার পাবেন। আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে ঠান্ডা দুধে মিশিয়ে খেতে পারেন ইসবগুল।
ঠান্ডা দুধে বিপাক ক্রিয়া বেশি কার্যকর থাকে। তাই যারা ওজন ঝরাতে চান তারা ঠান্ডা দুধ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এ ছাড়া ঠান্ডা দুধে থাকে প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রোলাইট। এ ইলেকট্রোলাইট ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। তাই গরমের সময় গরম দুধকে ডায়েটে রাখতে না পারলে ঠান্ডা দুধকে এক্ষেত্রে সঙ্গী করে নিতে পারেন।
-আনন্দবাজার পত্রিকা
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply