কাতার বিশ্বকাপেই শেষবারের মতো ৩২ দলকে খেলতে দেখা গেছে। ২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-মেক্সিকোতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ থেকেই অংশ নেবে ৪৮ দল। দল বাড়ায় বাছাই পর্বেও আসছে বড়সড়ো পরিবর্তন। এরই মধ্যে অবশ্য নির্ধারণ করা হয়ে গেছে আগামী বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ফরম্যাট।
ছয়টি মহাদেশের ৪৮টি দল নিয়ে বসবে ২০২৬ এর ফিফা বিশ্বকাপ। দল বাড়ায় প্রতিটি মহাদেশ থেকে বাড়ছে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা। যেখানে বরাবরের মতো সবচেয়ে বেশি দল সুযোগ পাবে ফুটবলের পাওয়ারহাউস ইউরোপ থেকে। সর্বোচ্চ ১৬টি দল খেলবে এই মহাদেশ থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯টি দল সুযোগ পাবে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে। এরপরই এশিয়া থেকে ৮টি, উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সমান ৬টি করে দল সুযোগ পাবে। সবচেয়ে ছোট মহাদেশ ওশেনিয়া থেকে ১টি ও বাকি দুটি দল আসবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফ খেলে।
ইউরোপ মহাদেশ:
বাছাই পর্বে অংশগ্রহণকারী দল: ৫৫
বাছাই পর্বের সময়কাল: মার্চ ২০২৫-নভেম্বর ২০২৫
ড্র: সময় নির্ধারিত হয়নি

সবচেয়ে সরল বাছাই পর্ব হবে ইউরোপিয়ান অঞ্চলেই। চার অথবা পাঁচ দলের ১২টি গ্রুপ হবে। ১২ গ্রুপের প্রতিটির গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন সরাসরি বিশ্বকাপে যাবে। সেরা চার রানার্সআপ নাকি প্লে-অফের মাধ্যমে বাছাই করা হবে বাকি চার দল, তা অবশ্য এখনো ঠিক হয়নি।
আফ্রিকা মহাদেশ:
অংশগ্রহণকারী দল: ৫৪
সময়কাল: ১৩ নভেম্বর ২০২৩-১৮ নভেম্বর ২০২৫
ড্র: ১২ জুলাই ২০২৩

দুই ধাপে হবে আফ্রিকার বাছাই পর্ব।
প্রথম রাউন্ড: ৫৪টি দল ৯ গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়বে। হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে রাউন্ড রবিন লিগ শেষে ৯ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন সরাসরি পাবে বিশ্বকাপের টিকিট।
দ্বিতীয় রাউন্ড: সেরা চার রানার্সআপ খেলবে প্লে-অফ। নকআউট প্লে-অফ শেষে একটি দল পাবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফের টিকিট।
এশিয়া মহাদেশ:
অংশগ্রহণকারী দল: ৪৭
সময়: ১২ অক্টোবর ২০২৩-১৪ অক্টোবর ২০২৫
প্রথম ও দ্বিতীয় রাউন্ডের ড্র: ২৭ জুলাই ২০২৩

সবচেয়ে জটিল বাছাই পর্ব হবে এশিয়ান অঞ্চলেই। সব মিলিয়ে পাঁচ ধাপে হবে এই বাছাই পর্ব।
প্রথম রাউন্ড: ২৭ জুলাই ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের নিচের দিকে থাকা এশিয়ার ২২ দল হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে দুই লেগের প্লে-অফ খেলবে। জয়ী ১১ দল উঠবে দ্বিতীয় রাউন্ডে।
দ্বিতীয় রাউন্ড: এশিয়ার শীর্ষ ২৫ দলের সঙ্গে যোগ দেবে প্রথম রাউন্ড পেরোনো ১১ দল। ৩৬ দলকে ৯টি গ্রুপে ভাগ করে শুরু হবে দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা। হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে রাউন্ড রবিন লিগ শেষে প্রতিটি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল তৃতীয় রাউন্ডে উঠবে।
তৃতীয় রাউন্ড: দ্বিতীয় রাউন্ড পার হওয়া ১৮টি দলকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করে শুরু হবে এই পর্ব, যেখান থেকে প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল সরাসরি পাবে বিশ্বকাপের টিকিট। গ্রুপে তৃতীয় ও চতুর্থ হওয়া ছয় দল যাবে চতুর্থ রাউন্ডে।
চতুর্থ রাউন্ড: ছয়টি দলকে দুই গ্রুপে ভাগ করা হবে। সিঙ্গেল লিগের পর্ব শেষে দুই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বিশ্বকাপের টিকিট পাবে।
পঞ্চম রাউন্ড: দুই গ্রুপের রানার্সআপ নিজেদের মধ্যে প্লে-অফ খেলবে। জয়ী দল যাবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে।
উত্তর আমেরিকা মহাদেশ:
অংশগ্রহণকারী দল: ৩২
সময়: মার্চ ২০২৪-নভেম্বর ২০২৫
ড্র: সময় ঠিক হয়নি।

তিন স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপে।
প্রথম রাউন্ড: আগামী নভেম্বরে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে মহাদেশের তলানির চার দল দুই লেগের দুটি প্লে-অফ খেলবে। জয়ী দুই দল দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবে।
দ্বিতীয় রাউন্ড: ৩০টি দলকে ৬টি গ্রুপে ভাগ করা হবে। সিঙ্গেল লিগ শেষে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ তৃতীয় রাউন্ডে খেলবে।
তৃতীয় রাউন্ড: ১২টি দল ৩ গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। ডাবল রাউন্ড রবিন লিগ শেষে তিন গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল বিশ্বকাপের টিকিট পাবে। সেরা দুই রানার্সআপ আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফ খেলবে।
দক্ষিণ আমেরিকা:
অংশগ্রহণকারী দল: ১০
সময়: সেপ্টেম্বর ২০২৩-সেপ্টেম্বর ২০২৫

দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের বাছাই পর্ব থাকছে আগের মতোই। ১০ দলের মধ্যে শীর্ষ ৬ দল সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপে। পয়েন্ট তালিকার সপ্তম দল খেলবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে।
ওশেনিয়া অঞ্চল:
অংশগ্রহণকারী দল: ১১
সময়: ঠিক হয়নি
ড্র সময় ঠিক হয়নি
এবার প্রথমবারের মতো ওশেনিয়া অঞ্চল থেকে একটি দল বিশ্বকাপে খেলবে। আরেকটি দল সুযোগ পাবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে। কীভাবে খেলা হবে, সেটি এখনও ঠিক করেনি ওএফসি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply