স্টাফ রিপোটারঃ রমজানের শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পঞ্চগড়ের ঈদ বাজার। সব বয়সির পদচারণায় মুখর বিপণিবিতান ও মার্কেট। ফলে দম ফেলার সুযোগ নেই বিক্রেতার। তবে বাড়তি দামে চিন্তার ভাঁজ নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কপালে।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) পঞ্চগড়ের বিভিন্ন বিপণিবিতান সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই হচ্ছে জমজমাট পঞ্চগড়ের মার্কেট। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। কাপড় থেকে শুরু করে কসমেটিকস ও জুতার দোকানেও ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানের শুরুর দিকে বিক্রি কম হলেও ২০ রমজানের পর বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। দাম বাড়তি হলেও কয়েকগুণ চাপ বেড়েছে শিশুদের পণ্যসামগ্রীতে। এক বিক্রেতা বলেন, ‘আগের তুলনায় প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়তি থাকার কারণে ক্রেতাদের পণ্য পছন্দ হলেও তারা ঘুরে যাচ্ছেন।’
আরেকজন বিক্রেতা বলেন, ‘এবার মূলত আমাদের সুতি থেকে জর্জেট কালেকশন বেশি চলছে। সেই সঙ্গে ভারতীয় পোশাকের চাহিদা বেশি।’
তবে সব পণ্যের দাম বাড়তি থাকায় চিন্তার ভাঁজ নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কপালে। পরিবারের চাহিদা মেটাতে তারা সাধ্যের মধ্যে কেনার চেষ্টা করছেন কাপড়সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ঈদসামগ্রী। এক ক্রেতা বলেন, ‘পোশাকের দাম বেশি হলেও প্রয়োজনের তাগিদে কিনতে হচ্ছে।’
এদিকে ঈদ বাজার নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে এবং যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে নিয়মিত বাজার তদারকি করছেন ট্রাফিক সদস্য ও বণিক সমিতির নেতারা। পঞ্চগড় বণিক সমিতির অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. সাবিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে আমরা বণিক সমিতির লোকজন বাজার তদারকি করছি, যাতে করে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে। আমরা সবসময় নজরদারি করছি।’
মানুষ যেন নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারে ও তাদের কোনো ধরনের সমস্যা না হয়, এর জন্য ট্রাফিক পঞ্চগড় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক পঞ্চগড়ের এটিএসআই মো. হারুন অর রশিদ।
এই ঈদ মৌসুমে পঞ্চগড় শহরের সেন্ট্রাল ও এস কে প্লাজা মার্কেটের ৯৫টি দোকানে প্রতিদিন প্রায় এক কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের পাশাপাশি এবার ঈদে কাপড়সহ সব সামগ্রীর মূল্য অনেকটাই বেড়ে গেছে। এতে করে বিপাকে পড়ছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন মূল্যবৃদ্ধির কারণে বেচাকেনাতে তারা অনেকটাই বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply