তিন মাস আগে কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে নতুন এক ইতিহাস লিখেছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে অবশেষে বহুল কাঙ্ক্ষিত শিরোপা জিতেছে লাতিন আমেরিকার দলটি। বিশ্ব আসরের শিরোপা জিতে সর্বকালের সেরাদের কাতারে নাম লিখিয়েছেন মেসি নিজেও। মেসির সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ, প্রথম ম্যাচে হেরে ঘুরে দাঁড়ানো আর নাটকে পরিপূর্ণ আসর সবকিছু যেন পরিপূর্ণতা দিয়েছে মেসিদের এ বিশ্বজয়।
দুর্দান্ত এই বিশ্বকাপকে ইতোমধ্যে অনেকেই ফুটবল বিশ্বকাপের সেরা আসর বলতে শুরু করেছেন। আসলে এতটা নাটকীয় ছিল এ বিশ্বকাপ। একটি শহরে পুরো এক বিশ্বকাপ আয়োজন, একের পর এক অঘটন আর শেষমেশ মেসির হাতে বিশ্বকাপ, এমন বিশ্ব আসরকে সেরা বলতে বাধ্য যে কেউ। তাই এবার এই বিশ্বকাপকে ডকুমেন্টারিতে রূপ দিয়েছে ফিফা।
‘রিটেন ইন দ্য স্টারস’ নামে ফিফার অফিসিয়াল এই ডকুফিল্মটি ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। ডকুমেন্টারি ফিল্মটির দৈর্ঘ্য এক ঘণ্টা ৩৪ মিনিট। ফিফার ওয়েবসাইটে এটি বিনামূল্যে উপভোগ করা যাবে। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন ওয়েলশ অভিনেতা মিকায়েল শীন।
বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ১৭২টি গোল হয়েছে কাতারের সবশেষ বিশ্বকাপে। ডকুমেন্টারিতে উঠে এসেছে গোলের সেসব মুহুর্ত। এছাড়া বিশ্বকাপ ঘিরে দর্শকদের উন্মাদনা ও রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটগুলোও এখানে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। অথচ ফুটবলের এই মেগা ইভেন্টের প্রায় প্রতিটি সেকেন্ডই ছিল ঘটনাবহুল। তাই ফুটবলভক্তদের অদেখা অনেক দৃশ্য ক্যামেরার নানা অ্যাঙ্গেলে তুলে আনা হয়েছে এই ফিল্মে।
স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কার প্রতিবেদন মতে, বিশ্বের ৩.৪ মিলিয়ন মানুষ কাতারের স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেছে। গড়ে প্রতিম্যাচে উপস্থিত ছিলেন ৫৩ হাজার দর্শক। এর আগের রাশিয়া বিশ্বকাপের চেয়ে এখানে গড়ে ৪০০ দর্শক বেশি ছিলেন। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত হওয়া সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও (১৭২ গোল) ভেঙে দিয়েছে কাতারের বিশ্বমঞ্চ। সেই দুর্দান্ত বিশ্বকাপেই ফ্রান্সকে ফাইনালে হারিয়ে শিরোপাটা নিজেদের করে নিয়েছে আলবিসেলেস্তিরা।
ডকুমেন্টারিতে অভিনেতা শীনের কণ্ঠে বেজে ওঠে, ‘এটি সেই গল্প (রিটেন ইন দ্য স্টারস), যেখানে ৩২টি দল জড়িত। এখানে রয়েছে আর্জেন্টিনা ও ফুটবলের মহাতারকা লিওনেল মেসির গল্প; যারা কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বজয়ের মাইলফলক নিজেদের করে নিয়েছে। তারা এমন একটি ম্যাচ উপহার দিয়েছে যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে স্মরণীয় ম্যাচগুলোর একটি।’
ডকু’র সর্বশেষ ধাপে বলা হয়, ‘এটি ৩২টি দেশের স্বপ্নজয়ের এক নান্দনিক যাত্রার কাহিনী, যার মাধ্যমে পরিশেষে চূড়ান্ত সফলতা পান লিওনেল মেসি। এর মাধ্যমে তার ফুটবল ক্যারিয়ার অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করে। যা আলবিসেলেস্তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ এবং সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত এনে দিয়েছে।’
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply