শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অর্থ ব্যবহারের সংশোধনী অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (কমিশন বিএসইসি)। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি চিঠি কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠিয়েছে বিএসইসি। একই সঙ্গে বিষয়টি ডিএসই ও সিএসই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অর্থ উত্তোলনের মাধ্যমে তালিকাভুক্তীর পর কোম্পানিটি ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারী থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু করে। কোম্পানিটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নিকট ২ কোটি ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮০০টি সাধারণ শেয়ার ৩১ টাকা মূল্যে (প্রান্ত সীমা থেকে ১০ শতাংশ বাট্টায়) ইস্যু করে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি ৬২ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টাকা সংগ্রহ করে। সংগ্রহীত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করার বিষয়ে জানায়।
কিন্তু তালিকাভুক্তীর পর আইপিও অর্থ ব্যবহারের সংশোধনী এনে কোম্পানিটি গত ১৫ ডিসেম্বর বিএসইসি বরাবর আবেদন জানিয়েছে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে এ অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, কমিশন এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডকে আইপিওর অর্থ ব্যবহার সংশোধন করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। সেক্ষেত্রে কোম্পানিটি আইপিও অর্থ দিয়ে অতিরিক্ত দেশগুলো (জাপান/চীন/ভারত) থেকে উপকরণ সংগ্রহ করতে পারবে। সেই সাথে এলপিজি শিল্পে কোম্পানির বাজার মূলধন বাড়ানোর জন্য রোড ট্যাঙ্কারের পরিবর্তে স্ট্যান্ডার্ড ভালভ সহ সহজলভ্য খালি এলপিজি স্টিল সিলিন্ডার , রোড ট্যাঙ্কারের জন্য প্রাইম মুভার এবং ববটেল ট্যাঙ্কার আমদানি করবে। এছাড়া ব্যবসার উদ্দেশ্যে আইপিও অ্যাকাউন্ট থেকে কোম্পানির নিয়মিত অ্যাকাউন্টে আইপিওর অবশিষ্ট অর্থ স্থানান্তর করতে পারবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানিটির সচিব বলেন, আইপিও অর্থ ব্যবহারের সংশোধনীর বিষয়ে বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের পর বিএসইসির কাছে আবেদন জানানো হয়। এরই প্রেক্ষিতে কমিশন বিষয়টির অনুমোদন দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এর আগে শুধু চীন থেকে উপকরণ আমদানি করার বিষয়ে উল্লেখ ছিল। পরবর্তীতে কভিড পরিস্থিতির কারণে সেটা বাড়িয়ে জাপান ও ভারতের জন্য আবেদন করা হয়। তাই এখন থেকে বাকি দুটি দেশ থেকেও উপকরণ আমদানি করা যাবে। এছাড়া সংশোধনীর বাকি দুটি বিষয়েও তিনি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, চলতি ২০২১-২২ হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ৪৮ পয়সা আয় হয়েছিল।
হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জুলাই’২১-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় হয়েছে ১ টাকা ০২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ছিল ৯২ পয়সা।
গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৫৮ টাকা ৬২ পয়সা (সম্পদ পুর্নমূল্যায়নের পর)।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply